Cyber Crime: মোবাইলে আসা অচেনা লিঙ্ক সম্পর্কে সাবধান, সতর্ক করলেন পুলিস কমিশনার
সিইএসসির বিল ডিউয়ের নাম করেও টাকা পয়সা নেওয়া হচ্ছে
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: কখনও লোন দেওয়ার নাম করে, কখনও আবার বিদ্যুত্ বিল মেটানোর নাম করে মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে। সেইসব লিঙ্কে ক্লিক করে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এনিয়ে সতর্ক করলেন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল।
চিন অ্যাপ ব্যবহার করে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কলকাতায় প্রতারিত হয়েছেন বেশকিছু মানুষ। সেইসব মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এখনওপর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতার পুলিস কমিশনার বলেন, মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের লিঙ্ক পাঠিয়ে কিছু প্রতারক সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। ওই লিঙ্কে ক্লিক করলেই একটি স্যফটওয়ার মোবাইলে ইনস্টল হয়ে যাচ্ছে। তারপর ওই মোবাইলের তথ্য চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের হাতে। এতে আপনার কনট্যাক্ট লিস্ট চলে যাচ্ছে প্রতারকদের হাতে।
পুলিস কমিশনার আরও বলেন, কোনও অ্যাপ্লিকেশন যখন ডাউনলোড করা হচ্ছে তখন ফোনের কনট্যাক্ট লিস্ট, ছবি-সহ অন্যান্য তথ্য চলে যাচ্ছে প্রতারকের হাতে। ওই তথ্য চলে গেলেই সেইসব নম্বরে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। কোনও কোনও সময় মরফ ছবি পাঠিয়ে টাকার দাবি করা ব্ল্যাকমেইল। মানুষ কোনও কোনও ক্ষেত্রে অসহায় অবস্থায় টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে ভয় না পেয়ে পুলিসের কাছে আসুন। কলকাতা পুলিসের সাইবার ক্রাইম সেল একটি টুইটার হ্যান্ডেল খুলেছে। সাইবার ক্রাইম হলে তা রিপোর্ট করার জন্য একটি ওয়েবসাইটও খুব শীঘ্র খোলা হবে। সিইএসসির নাম করে বিলের টাকা চাওয়া হচ্ছে। পেমেন্ট না দিলে বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে বলা হচ্ছে। এতে মানুষ উদ্বেগে পড়ে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ ওইসব মেসেজে ক্লিক করলেই তারা বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।
অ্যাপে ক্লিক করেও সব হারাচ্ছেন মানুষজন। বিনীত গোয়েল বলেন, কিছু লোন অ্য়াপ রয়েছে যা নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। কল সেন্টার খুলে বিভিন্ন দেশ থেকে লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে। ফোন করা হচ্ছে। এনিয়ে তদন্ত করতে নেমে আমরা কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি। তামিলনাডু, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কলকাতায় ছড়িয়ে রয়েছে এই চক্র। ইন্টারনেটের জন্য বিভিন্ন জায়গা বসে মানুষ এই চক্র চালাচ্ছে। নেপাল, দুবাই ও এদেশের বিভিন্ন শহরে বসে এসব হচ্ছে। দেখবেন ভারতীয় নম্বর থেকে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। কিন্চু সেটি পাঠানো হচ্ছে বিদেশে বসে। এসব ক্ষেত্রে টাকা চলে যাচ্ছে কোনও ফেক অ্যাকাউন্টে।
পুলিস কমিশনারের পরামর্শ, এরকম কোনও সমস্যা হলে আমাদের কাছে আসুন। আমরা আপনাদের সাহায্য করব। সম্প্রতি একটি খবর বেরিয়েছে, কলকাতায় কলসেন্টার খুলে প্রতারণা করা হচ্ছে। ওইসব কল সেন্টার থেকে রোজ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। এরকম খবরের কোনও ভিত্তি নেই। জানি না কোথা থেকে ওই খবর বের হল।
আরও পড়ুন-স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠালেন শ্রীলঙ্কার পলাতক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া
আরও পড়ুন-Fraud: সহজে ঋণ? চিনা অ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, কলকাতায় গ্রেফতার ৫