শুরু হচ্ছে ভারতের দ্বিতীয় করোনা টিকার হিউম্যান ট্রায়াল, শেষ হচ্ছে তিন মাসের মধ্যেই!
জানা গিয়েছে, দু’দফায় মোট ১,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর আহমেদাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি টিকার (ZyCov-D) পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি COVAXIN এবং আহমেদাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলার (Zydus Cadila) ZyCov-D— এই দু’টি করোনা প্রতিষেধক ইতিমধ্যেই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (DCGI) থেকে হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি পেয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, আগামী ১৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে Covaxin-এর প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল। দু’টি পর্যায়ে মোট ১,১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর Covaxin পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হবে। জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়ালও শুরু হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। দু’দফায় মোট ১,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই প্রতিষেধকের (ZyCov-D) পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে।
আহমেদাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলার চেয়ারম্যান পঙ্কজ প্যাটেল (Pankaj R Patel) জানান, দু’দফায় সংস্থার তৈরি করোনা প্রতিষেধকের (ZyCov-D) হিউম্যান ট্রায়াল চালানো হবে। এই দু’দফার হিউম্যান ট্রায়ালের ফলাফলের উপরেই নির্ভর করছে প্রতিষেধকের পরবর্তী ট্রায়ালের অনুমতি মেলার বিষয়টি। দু’দফায় এই প্রতিষেধকের (ZyCov-D) হিউম্যান ট্রায়াল শেষ হতে মোটামুটি তিন মাস সময় লাগতে পারে বলে জানান জাইডাস ক্যাডিলার চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: বৈশিষ্টে দ্রুত পরিবর্তন ঘটিয়ে আরও ভয়ঙ্কর, সংক্রামক হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস! দাবি গবেষকদের
আহমেদাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে সব রকম নিয়ম-কানুন মেনেই এগোচ্ছে সংস্থাগুলি। প্রথম দুটি পর্যায়ে প্রতিষেধকটি কতটা নিরাপদ (Safely) তা দেখে নেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় পর্যায়ে প্রতিষেধকের কার্যকারিতা (Efficacy) দেখবেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রতিষেধকের (ZyCov-D) সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্ত দিক বিস্তারিত ভাবে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে।