Diabetes in Children: ডায়াবেটিসের কবলে পড়ছে শিশুরাও! জেনে নিন কেন ঘটছে...
Diabetes in Children: যতদিন যাচ্ছে শিশুদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রকোপ প্রথম থেকেই ডাক্তারদের ভাবিয়ে তুলেছে, যা একসময় বয়স্কদের রোগ বলে ধরা হত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্বজুড়ে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ডায়াবেটিসের সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) প্রকাশিত ডায়াবেটিস অ্যাটলাস ২০২১-এর তথ্য অনুযায়ী, টাইপ ১ ডায়াবেটিসে (T1DM) আক্রান্ত শিশু-কিশোরদের সংখ্যা ভারতে সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন- কীভাবে বুঝবেন আপনি HMPV আক্রান্ত, সাবধান হবেন কেমন করে
ডায়াবেটিস ও স্থূলতার মত অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণে আইডিএফ ১৭টি খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত নির্দেশিকা দিয়েছে। এদিকে, আইসিএমআর জানিয়েছে যে ভারতে অস্বাস্থ্যকর খাবার ৫৬.৪ শতাংশ ক্ষেত্রেই রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই সুষম ও পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব সকলের বোঝা উচিত। এই বিষয়ে আরোগ্য ওয়ার্ল্ডের প্রোগ্রাম প্রধান শ্রাবণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস ও সচেতনতা তৈরি করা খুবই জরুরি।
শিশুদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রকোপ প্রথম থেকেই ডাক্তারদের ভাবিয়ে তুলেছে। ২০০০ সালের পরে পিটসবার্গের ফিদা বাচা দেখেন যে, অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতায় ভোগা অনেক শিশু ক্লিনিকে আসছে। তারা অতিরিক্ত তৃষ্ণা, ঘন ঘন প্রস্রাবের মতো উপসর্গের কথা বলত, যা একসময় বয়স্কদের রোগ বলে ধরা হত।
আরও পড়ুন- হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, HMPV-এর পরে নয়া আতঙ্ক 'র্যাবিট ফিভার', জানুন এর উপসর্গ
ডায়াবেটিস ছোটদের মূলত যে কারণগুলির জন্য় হয়ে থাকে-
টাইপ ১ ডায়াবেটিস শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ, তবে এটি যেকোনো বয়সেই হতে পারে। ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
১ পারিবারিক ইতিহাস
২. জেনেটিক্স
৩. জাতি
৪. ভাইরাসের সংস্পর্শ:
৫. বয়স(সাধারণত ৪-৭ এবং ১০-১৪ বছরের শিশুদের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি।)
আরও পড়ুন- খাতায় কলমে আজ থেকে শুরু গঙ্গাসাগর মেলা, পুণ্যার্থীদের জন্য এলাহি ব্যবস্থা রাজ্য়ের
টাইপ ২ ডায়াবেটিস যেকোনো বয়সেই হতে পারে, তবে কিশোর বয়সে বেশি দেখা যায়। ঝুঁকির কারণগুলি হলো:
১. অতিরিক্ত ওজন
২. নিষ্ক্রিয়তা (পর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপের অভাব)
৩. অস্বাস্থ্যকর ডায়েট (লাল মাংস, প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং মিষ্টিজাত পানীয়)।
৪. জাতি ও লিঙ্গ: কিছু নির্দিষ্ট জাতি এবং লিঙ্গভেদে ঝুঁকি বেশি।
৫. মায়ের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে সন্তানের ঝুঁকি বাড়ে)।
৬. কম ওজনে জন্ম বা অকাল জন্ম
আরও পড়ুন- 'মারাত্বক কিছু নয়', HMPV ভাইরাস নিয়ে 'প্রাইভেট চক্র'কে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর...
কীভাবে হবে প্রতিরোধ এবং কী কী ব্যবস্থাপনায় দূর হবে এই রোগ?
শিশুদের ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করতে এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে:
১. পুষ্টিকর খাবার: জটিল কার্বোহাইড্রেট, শাকসবজি, এবং ফল খাওয়ান। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে সঠিক ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
২. নিয়মিত খাবারের সময়সূচি: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে অন্তত তিনবেলা খাবার খেতে দিন।
৩. খালি ক্যালোরি এড়ানো: চিনি, চর্বি, এবং অ্যালকোহলযুক্ত খাবার কমানোর পরামর্শ দিন।
৪. শারীরিক কার্যকলাপ: শিশুদের শারীরিকভাবে সক্রিয় হতে হবে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ডায়েট এবং জীবনযাপনের অভ্যাস শিশুদের সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।
(Disclaimer: প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কোনও সুপারিশ করা হচ্ছে না।)
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)