পারিবারিক অশান্তি, সম্পত্তির লোভ, দুইয়ের টানাপোড়েনের বলি ক্লাস সিক্সের ছাত্র
পারিবারিক অশান্তি। তার সঙ্গে সম্পত্তির লোভ। এই দুইয়ের টানাপোড়েনের বলি ক্লাস সিক্সের ছাত্র সৌম্যজিত দাস। এমনটাই সন্দেহ পুলিসের।
ওয়েব ডেস্ক: পারিবারিক অশান্তি। তার সঙ্গে সম্পত্তির লোভ। এই দুইয়ের টানাপোড়েনের বলি ক্লাস সিক্সের ছাত্র সৌম্যজিত দাস। এমনটাই সন্দেহ পুলিসের।
এগারো বছরের ছোট্ট জীবন। কিন্তু তার মধ্যে টানাপোড়েন কম নয়। পরিণতি নৃশংস খুন। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে সৌম্যজিতের ঠিকানা ছিল ব্যান্ডেলের কৃষ্ণপুর বাজার এলাকায় দিদার বাড়ি। মায়ের নতুন সংসারে ঠাঁই হয়নি। কিন্তু সৌম্যজিতকে নিয়ে সোমা-অরবিন্দর সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত।দিদার ছোট বাড়ি এবং একটি দোকান। সম্পত্তির পরিমাণ খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু তার মায়ের দাবি, সেই সম্পত্তির লোভেই ছেলেকে খুন হতে হয়েছে। একই দাবি সৌম্যজিতের জেঠারও।তিন বছর বিয়ে হয়েছে সোমা-অরবিন্দর। কিন্তু সেই বিয়ে সুখের হয়নি।৩ বছরের বিবাহিত জীবনে সোমা-অরবিন্দের কোনও সন্তান হয়নি।অরবিন্দের অভিযোগ, সৌম্যজিতের কারণেই আর মা হতে রাজি হননি সোমা।পর পর মিসক্যারেজের জেরে সোমাকে চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যেতে চান অরবিন্দ।
আরও পড়ুন সাংসদকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তৃণমূলের আন্দোলন অব্যাহত
১ জানুয়ারি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা থাকলেও যাননি সোমা।পরিচিত এক যুবকের সঙ্গে ব্যান্ডেল চার্চ চলে যান সোমা।অভিযোগ কালনার বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তাঁর।ঘটনার পর অরবিন্দের গতিবিধিই সন্দেহ উসকে দেয়।শুক্রবার সোমাকে নিয়ে যেতে শ্বশুরবাড়ি যায় অরবিন্দ।রাত ৮টা নাগাদ সোমাকে না নিয়েই বেরিয়ে যায় সে।সেসময় অরবিন্দের পড়নে ছিল নীল শার্ট, ধূসর প্যান্ট এবং বাদামি রংয়ের সোয়েটার।রাত ১১টা নাগাদ যখন সে ফের শ্বশুরবাড়ি আসে, তখন অন্য পোশাকে ছিল অরবিন্দ।রাতভর সৌম্যজিতকে খোঁজাখুঁজির পর ভোরবেলা বাড়ি ফিরেই নিজের পোশাক ধুতে বসে সে।প্রাথমিক অনুমান, সৌম্যজিতকে ভুলিয়ে বাইকে করে নিয়ে গিয়ে খুন করে অরবিন্দ। লোভ নাকি আক্রোশ? কারণ যাই হোক, মা-বাবার সম্পর্কের তিক্ততার বলি হতে হল ক্লাস সিক্সের সৌম্যজিতকে, এমনই মত পুলিসের।