বর্ধমান কাণ্ড: শাকিল, আবুল রোজ কী করত ওই সাইবার ক্যাফেতে?
দুটি ই মেল আইডি, একটি স্কাইপ আইডি। খাগড়াগড়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরি থেকে পাওয়া এই দুই সূত্র। সেই সূত্রই গোয়েন্দাদের পৌছে দিয়েছে গোলাপবাগের এক সাইবার কাফেতে। খাগড়াগড়কাণ্ডের সঙ্গে কী যোগ ওই ক্যাফের? কাদের সঙ্গে স্কাইপে যোগাযোগ করা হত প্রায়দিনই? গোয়েন্দাদের সামনে এখন এমনই হাজারো প্রশ্ন।
ওয়েব ডেস্ক: দুটি ই মেল আইডি, একটি স্কাইপ আইডি। খাগড়াগড়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরি থেকে পাওয়া এই দুই সূত্র। সেই সূত্রই গোয়েন্দাদের পৌছে দিয়েছে গোলাপবাগের এক সাইবার কাফেতে। খাগড়াগড়কাণ্ডের সঙ্গে কী যোগ ওই ক্যাফের? কাদের সঙ্গে স্কাইপে যোগাযোগ করা হত প্রায়দিনই? গোয়েন্দাদের সামনে এখন এমনই হাজারো প্রশ্ন।
ডাউনলোড করা বহু ভিডিও, প্রিন্ট আউটের স্তুপ। খাগড়াগড়ের বাড়িতে এমন অনেক কিছুই পেয়েছেন গোয়েন্দারা। পাওয়া গেছে একটি ডায়েরি। তাতে ছিল দুটি ই মেল আইডি ও একটি স্কাইপ আইডি। কিন্তু পাওয়া যায়নি কোনও ল্যাপটপ বা কম্পিউটার। তাহলে কীভাবে ব্যবহার হত ই মেল ও স্কাইপ আইডির?
হাজারো প্রশ্ন। উত্তরের খোঁজে শুরু হয় রাজিয়া বিবি এবং আলিমা বিবিকে জেরা। মুহুর্মুহু একের পর এক প্রশ্ন। লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ। বহু চেষ্টার পর মেলে জবাব। জানা যায় গোলাপবাগের সাইবার ক্যাফের কথা। ক্যাফেটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই।
দুজনেরই স্বামীরা অর্থাত্ শাকিল গাজি এবং আবুল হাকিম প্রায় প্রতিদিনই যেতেন সাইবার ক্যাফেতে। যাওয়ার সময় ছিল দুপুর একটা থেকে তিনটে। ওই সময় বেশ ফাঁকা থাকত সাইবার ক্যাফে। সেজন্যই কি বেছে নেওয়া হয়েছিল দুপুরের ওই সময়? ঠিকানা হাতের মুঠোয়। সময় নষ্ট না করে সাইবার ক্যাফেতে হানা দেন গোয়েন্দারা। বাজেয়াপ্ত করা হয় হার্ড ডিস্কগুলি। চলে ক্যাফের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ। কারা আসত? এমন কেউ, যাদের রোজ দেখা যেত? সবার পরিচয়পত্র কী নিয়ম মেনে, ঠিকমতো দেখা হত?
কাজ শুরু করে দিয়েছেন সাইবার এক্সপার্টরা। চেষ্টা চলছে ই মেল আইডি, স্কাইপ আইডি-র রহস্য সমাধানের। বিদেশে যোগাযোগের সূত্র তো পাওয়া গেল। এরপর কী? কোথায়, কত দূর ছড়িয়ে খাগড়াগড়কাণ্ডের জাল? গোয়েন্দাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও বাড়াচ্ছে এই সব প্রশ্নই।