বিহার থেকে গ্রেফতার সাংবাদিকদের খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত শিবু যাদব

অবশেষে ধরা পড়ল সাংবাদিকদের খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত শিবু যাদব। বিহারের পূর্ব চম্পারণ থেকে গ্রেফতার করা হয় শিবুকে। শিবুকে ট্রামজিট রিম্যান্ডে এই রাজ্যে নিয়ে আসা হবে। শিবুকে হেফাজতে আনতে বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিস।

Updated By: Jun 13, 2013, 04:47 PM IST

বারাকপুরে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শিবু যাদবকে গ্রেফতার করল পুলিস। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিহারের পূর্ব চম্পারন জেলার সুগোলি থানা থেকে। শিবু যাদবের ট্রানজিট রিমান্ডের আর্জি জানাবে পুলিস। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বারাকপুরে তৃণমূল কর্মীদের হামলার শিকার হন চব্বিশ ঘণ্টার সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্ত সহ তিনজন সাংবাদিক। পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয় বরুণ সেনগুপ্তকে। পরে তাঁকে  উদ্ধার করে পুলিস। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শিবু যাদব।

শুক্রবার বারাকপুরে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না  মূল অভিযুক্ত, তৃণমূল নেতা শিবু যাদবের।  শিবু বিহারে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে এই আশঙ্কায় আগেই বিহার পুলিসকে সতর্ক করেছিল বারাকপুর কমিশনারেট। এরপর থেকেই শিবু এবং তার ঘনিষ্ঠদের মোবাইল ট্র্যাক করতে শুরু করে পুলিস। পুলিসকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার বিহারের সুগোলি থানা এলাকায়  শিবুর মোবাইলের টাওয়ারের সিগন্যাল মেলে। এরপরেই সুগোলি থানার সঙ্গে যোগাযোগে করেন বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। তল্লাসি চালানোর সময় পশ্চিমবঙ্গের নম্বর প্লেট লাগানো একটি গাড়ি আটক করে বিহার পুলিস। গাড়িতে চালকসহ আটজন ছিলেন। প্রত্যেককে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় সুগোলি থানায়।
কেন গ্রেফতার হলেন শিবু জানতে ক্লিক করুন এখানে
খবর পেয়ে বুধবার রাতেই বিহার রওনা হন গোয়েন্দারা। আটকদের মধ্যে থাকা শিবু যাদবকে চিহ্নিত করে পুলিস। গত সপ্তাহের শুক্রবার বারাকপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন চব্বিশ ঘণ্টার সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্ত। পেট্রোল ঢেলে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়। আক্রান্ত হন এবিপি আনন্দের সাংবাদিক আস্তিক চট্টোপাধ্যায় ও কলকাতা টিভির সাংবাদিক টোনা সিংহ রায়। গোটা ঘটনায় মূল পাণ্ডা হিসেবে উঠে আসে স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও এলাকায় কুখ্যাত অপরাধী শিবু যাদবের নাম। এরপরেই গা ঢাকা দেয় শিবু। নয়া বস্তিতে তার বাড়ি ছিল তালাবন্ধ। এরপর থেকেই তার খোঁজে নামে পুলিস। সম্ভবত শুক্রবারই ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে কলকাতায় আনা হবে।

.