ধুঁকছে স্কুলবাড়ি, মিড ডে মিল অনিয়মিত, হুঁশ নেই প্রধানশিক্ষকের
ভেঙে পড়ছে স্কুলবাড়ি। পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। মিড ডে মিলও নিয়মিত পায় না পড়ুয়ারা। অভিভাবকরা ক্ষোভে সরব। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের হুঁশ নেই বলে অভিযোগ। চরম অবহেলায় ধুঁকছে খড়গপুরের আরামবাটির সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুল।
খড়গপুর: ভেঙে পড়ছে স্কুলবাড়ি। পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। মিড ডে মিলও নিয়মিত পায় না পড়ুয়ারা। অভিভাবকরা ক্ষোভে সরব। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের হুঁশ নেই বলে অভিযোগ। চরম অবহেলায় ধুঁকছে খড়গপুরের আরামবাটির সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুল।
ছাদের অনেক জায়গাতেই চাঙড় খসে পড়েছে। দেওয়ালের অবস্থা বিপজ্জনক। তবু ঝুঁকি নিয়েই পড়াশুনা চলছে আরামবাটির সিদ্ধেশ্বরী হাই স্কুলে। প্রায় তিনশো ছাত্রছাত্রীর পানীয় জলের তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই। শৌচাগারও বেহাল। পাঁচিল না থাকায় স্কুলচত্বরে অবাধেই চরছে গোরু। মিড ডে মিলও নিয়মিত পায়না পড়ুয়ারা। অভিভাবকরাও ক্ষুব্ধ।
স্কুলে এই মুহুর্তে পরিচালন সমিতি নেই। প্রধান শিক্ষকই স্কুল চালানোর দায়িত্বে। যাবতীয় অভিযোগের নিশানায় তিনিই। প্রধান শিক্ষকের আচরণে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরাও। অভিযোগ, তিনি কোনও কথাতেই কান দেন না। এমনকী প্রতিবাদী এক শিক্ষককে মারধর পর্যন্ত করতে গিয়েছিলেন।
বারবার অভিযোগ জানিয়েও ফল হয়নি, বলছেন অভিভাবকরা। স্কুলের পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সভাপতিও হতাশ। সব অভিযোগই অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। সংশ্লিষ্ট সব মহলে এখন একটাই প্রশ্ন, এই অচলাবস্থার শেষ কোথায়?