ভিলেন 'সেলিব্রিটি', ঘাতক উদয়নকে নিয়েই সেলফি তোলার হিড়িক

ঘৃণ্য অপরাধ। ঘৃণীত অপরাধী। তবু তাকে নিয়েই হুড়োহুড়ি। ভিলেন ইমেজ। তবু যেন, হিরো হিরো ব্যাপার। বাঁকুড়া মেতে, উদয়ন ফোবিয়ায়। একদিকে যেমন তাকে ঘিরে সেলফি তোলার হিড়িক, আরেকদিকে একবার সামনে থেকে দেখার মরিয়া চেষ্টা। উত্‍সাহের কেন্দ্রে, শুধুই উদয়ন।  

Updated By: Feb 7, 2017, 11:24 PM IST
ভিলেন 'সেলিব্রিটি', ঘাতক উদয়নকে নিয়েই সেলফি তোলার হিড়িক

ওয়েব ডেস্ক: ঘৃণ্য অপরাধ। ঘৃণীত অপরাধী। তবু তাকে নিয়েই হুড়োহুড়ি। ভিলেন ইমেজ। তবু যেন, হিরো হিরো ব্যাপার। বাঁকুড়া মেতে, উদয়ন ফোবিয়ায়। একদিকে যেমন তাকে ঘিরে সেলফি তোলার হিড়িক, আরেকদিকে একবার সামনে থেকে দেখার মরিয়া চেষ্টা। উত্‍সাহের কেন্দ্রে, শুধুই উদয়ন।  

শুধুই মাথার সারি। ভিড়ে-ভিড়াক্কার। যেমনটা হয়, শাহরুখ-সলমনদের দেখতে গেলে। এক্ষেত্রে অবশ্য আকর্ষণের কেন্দ্রে উদয়ন দাস।সাইকো কিলার হিসেবে ইতিমধ্যেই যার দেশজোড়া নাম। খাসা সেলিব্রিটি। লক আপে বসেও সিরিয়াল কিলারের বায়নাক্কার অবশ্য শেষ নেই। সোমবার রাতে বাঁকুড়া থানার লক আপে রাখা হয় উদয়ন দাসকে। আকাঙ্ক্ষা হত্যা দিয়ে যে কেস শুরু, তাতে এখন জড়িয়েছে নিজের মা-বাবাকেও খুনের দায়। তবু ভাবলেশহীন উদয়ন। 

 

সোমবার রাতে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে খেতে দেওয়া হয় ভাত-ডাল-বাঁধাকপির তরকারি। কিন্তু নাক সিঁটকে যায় তার। আবদার জোড়ে, মাছ-ভাত চাই। কিন্তু পুলিস জানিয়ে দেয়, যা দেওয়া হয়েছে তাকে সেটাই খেতে হবে। এরপর আর কথা বাড়ায়নি উদয়ন। রাতভর টানা ঘুম। সকাল সাড়ে ছটায় ঘুম ভাঙে। দেওয়া হয় চা-বিস্কুট। তাও খেয়ে নেয় সে। চোখেমুখে অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। এই সাইকো কিলারকে দেখতে এদিন সকাল থেকেই থানার বাইরে ভিড় জমে যায় উত্‍সাহী জনতার। 

 

এর জেরে একসময় থানার বাইরের গেট বন্ধ করে দেয় পুলিস। নিরাপত্তার খাতিরে লক আপেই মেডিক্যাল টেস্টও করিয়ে নেওয়া হয় উদয়নের। সকালেই তড়িঘড়ি বাঁকুড়া আদালতে তাকে নিয়ে যায় পুলিস। আদালতে পৌছেও ঝুরি ঝুরি আবদার উদয়ন দাসের। প্রথমে তাকে বেশ কয়েকঘণ্টা রাখা হয় কোর্ট লক আপের পাশের একটি ঘরে। চায়ের আবদার জোড়েন উদয়ন। চাই সিগারেটও। দুটি দাবিই মেটান কোর্ট ইন্সপেক্টর। আইনজীবীদের সে বলে, তাকে যেন তাড়াতাড়ি ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা।
 

উদয়নের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ১৫ জন মহিলা পুলিসকর্মী। তাদের মধ্যেও উদয়নের সঙ্গে সেলফি তোলার যেন ধুম পড়ে যায়। হিন্দি, বাংলা, ইংরেজি তিন ভাষাতেই সমান তালে কথাবার্তা চালিয়ে যায় উদয়ন। ভিতরে ফুল অন ড্রামা। বাইরে ঠাসা ভিড় উত্‍সাহীদের। কুখ্যাতিরও বিড়ম্বনা। দেখল, বাঁকুড়া কোর্ট চত্বর। উদয়নকে উদ্দেশ্য করে, আদালতেই পড়ে ঢিল। চলে তুলকালাম।

.