ভোট গণনার মাঝেই চলল অশান্তি, মিটতেই খুন

কংগ্রেস কর্মী খুন, বিরোধী প্রার্থী-এজেন্টদের মারধর, সিপিআইএম দলীয় কার্যালয়ে আগুন। পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরোতেই শাসক দলের সন্ত্রাসের নিশানায় বিরোধীরা।

Updated By: Jul 29, 2013, 12:26 PM IST

কংগ্রেস কর্মী খুন, বিরোধী প্রার্থী-এজেন্টদের মারধর, সিপিআইএম দলীয় কার্যালয়ে আগুন। পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরোতেই শাসক দলের সন্ত্রাসের নিশানায় বিরোধীরা।
ভোটের ফল বেরোতেই খুন হয়ে গেলেন কোচবিহারের পাতলাখাওয়ার কংগ্রেস কর্মী অমল বর্মন। অমল বর্মন ও তার সঙ্গীদের ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তিন কংগ্রেস কর্মীকে এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্ধমান জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে আসতেই হিংসার খবর আসতে থাকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। রানিগঞ্জের বেলুনিয়ায় সিপিআইএমের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মেমারি দুনম্বর ব্লকে সিপিআইএম প্রার্থী মালা ভট্টাচার্য ও বাবলু শীলকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। গণনাকেন্দ্রের সামনে সিপিআইএম-তৃণমূল সংঘর্ষে আহত হন ৬ জন। পাণ্ডবেশ্বরের বৈদ্যনাথপুর হাইস্কুল গণনাকেন্দ্রের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হেনস্থার শিকার হতে হন কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি এবং জেলা কমিটির সদস্যকে।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসন্তীতে আরএসপি সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল সমর্থকরা। এক মহিলার গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয়, জখম হয় দুই শিশুও। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার রাহানা এক নম্বর বাজারে গ্রামপঞ্চায়েতের ফল প্রকাশের পরেই শুরু হয় ভাঙচুর বোমাবাজি। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সিপিআইএম ক্যাম্প ভাঙচুর হয় মুরাগাছাতেও। সিপিআইএম জেলা সম্পাদক দীপক মিত্র, সুব্রত সেনগুপ্ত সহ আক্রান্ত হন ১০ সিপিআইএম সমর্থক। রাজারহাট ব্লকের ৬ টি গ্রামপঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে আসতেই শুরু হয় সিপিআইএম ক্যাম্প ভাঙচুর। রাজারহাট শিক্ষানিকেতন গণনাকেন্দ্রে বাইরে সিপিআইএমের ৩টি ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর চলে, মারধর করা হয় সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের।

 
  

.