বীরভূমের পর মালদা, লক আপে পুলিসের অকথ্য অত্যাচারে মৃত্যু অভিযুক্তের

থানার লক আপে অভিযুক্তকে অকথ্য নির্যাতন। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির বলে অভিযোগ পরিবারের। কাঠগড়ায় মালদা জেলা পুলিস।
জমি সংক্রান্ত মামলা নিয়ে বচসার জেরে বুধবার রাত ৯টা নাগাদ অবাইতুর রহমানকে গ্রেফতার করে মালদা জেলা পুলিস। এরপরই চলে লক আপে বেধড়ক মারধর। রাত ১টা নাগাদ অচৈতন্য অবস্থায় তাকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে খবর দেওয়া হয় পরিবারের লোকেদের। ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ পরিবারের লোকজন এসে পৌঁছন হাসপাতালে। মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণ দেখিয়ে ১২ ঘণ্টা ধরে অচৈতন্য অবাইতুরকে সকাল ৯টা নাগাদ রেফার করা হয় কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু তারপরেও গুরুতর জখম অবাইতুরকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার কোনও হেলদোল দেখা যায়নি পুলিসের মধ্যে।
এরপর বেলা ৩টে নাগাদ তাকে নিয়ে মালদা সদর হাসপাতাল থেকে বের হয় পুলিস। কিন্তু কলকাতা এসে পৌঁছয় রাত ১টা নাগাদ। এরপরই তাকে মৃত ঘোষণা করে এসএসকেএম হাসপাতাল। পরিবারের অভিযোগ লক আপে পুলিসের অকথ্য অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে অবাইতুরের। মৃত্যু নিয়ে উঠে এসেছে অনেক প্রশ্ন। কেন হাসপাতাল সকাল ৯টা রেফার করলেও বেলা ৩টে বেজে গেল পুলিস হেফাজতে থাকা গুরুতর অসুস্থা অবাইতুরকে নিয়ে বেরোতে? কেন বেলা ৩টে থেকে রাত ১টা বেজে গেল তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করতে? গোটা ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে অবাইতুরের পরিবার।
মহিলার ওপর অমানবিক অত্যাচারের অভিযোগে যখন কাঠগড়ায় বীরভূম পুলিস, তখন পুলিসি বর্বরতার অভিযোগ উঠল মালদাতেও।