বর্ধমান কাণ্ড: ন্যানো থেকে শুরু নতুন জল্পনার

Updated By: Oct 13, 2014, 11:38 PM IST
বর্ধমান কাণ্ড: ন্যানো থেকে শুরু নতুন জল্পনার

বর্ধমানের মঙ্গলকোটের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ধার ন্যানো গাড়ি জন্ম দিল নতুন জল্পনার। RTO সূত্র জানাচ্ছে, গাড়িটির নম্বর, আদৌ কোনও মোটরগাড়ির নয়। বরং ওই নম্বরেই দুটি মোটর বাইকের সন্ধান মিলেছে। এই সেই ন্যানো। মঙ্গলকোটের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উদ্ধার এই ন্যানো ব্যবহার করত সন্দেহভাজন জঙ্গি ইউসুফ ও বোরহান। গাড়িটির প্লেটে লেখা রয়েছে তার নম্বর WB 58F-6943। আর এই নম্বর প্লেট থেকেই জন্ম নিচ্ছে নতুন রহস্য। RTO সূত্রে খবর, নম্বরটি আদৌ কোনও মোটরগাড়ির নয়। জানা গেছে,

নম্বরটির রেজিস্ট্রেশন একটি সুপার স্প্লেন্ডর বাইকের।
২০০৫ সালে বাজারে এসেছিল বাইকের ওই মডেল।
বাইকের প্রথম মালিক মুর্শিদাবাদের সুতির নয়া বাহাদুরপুরের বাসিন্দা বাদিউল আলম।
২০১২ সালে বাইকের মালিকানা বদল হয়।
বাইকটি কেনে লালগোলার রাধাকৃষ্ণপুরের দুই ভাই তাজমুল হক ও মহম্মদ কবিরুল ইসলাম।
তাজমুল পেশায় কৃষক এবং কবিরুল ফেরিওয়ালা।
তাজমুল ও কবিরুল জানাচ্ছেন বাইকটি তাঁরা কিনেছিলেন ২০০৬ সালে।
২০০৬ সালে একটি গ্যারাজ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বাইকটি কেনার দাবি করছেন তাজমুল ও কবিরুল।

রহস্যের এখানেই শেষ নয়। বীরভূমের RTO সূত্রেও মিলেছে একই নম্বরে আরেকটি মোটরবাইকের তথ্য। জানা গেছে, বীরভূমের আরটিও থেকে এই একই নম্বর সংগ্রহ করেছিলেন মুর্শিদাবাদের রানিনগরের ডুমাপাড়ার বাসিন্দা মতিবুল রহমান। মতিবুল তার লাল-কালো ইয়ামা মোটর সাইকেলের জন্য নম্বরটি নিয়েছিলেন। রহস্যময় নম্বররের ন্যানো গাড়িটি বিস্ফোরক বহনের কাজে ব্যবহার হয়েছিল বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা।

 

.