কোথাও দেরিতে পৌঁছল প্রশ্ন, অনেকে পরীক্ষা দিলেন অ্যাডমিট ছাড়াই

উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দিনেই বিভ্রাট। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দায় শিবনাথ স্কুলে ওড়িয়া প্রশ্নপত্র পৌঁছল প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে। খড়দহ উপেন্দ্র ভঞ্জ হাইস্কুলের ১৩৩ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছেন এই কেন্দ্রে। পরীক্ষাকেন্দ্রে অভিভাবকদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, প্রশ্নপত্র সঠিক সময়েই এসেছে। তবে নতুন সিলেবাসের বদলে পুরনো সিলেবাসের প্রশ্নপত্র এসেছে। ওড়িয়া ভাষার কোনও শিক্ষক না থাকার জন্যই এমন ঘটনা বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। স্কুলগেটে তালা দিয়ে দেওয়া হয়। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস।

Updated By: Mar 13, 2013, 10:12 PM IST

উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দিনেই বিভ্রাট। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দায় শিবনাথ স্কুলে ওড়িয়া প্রশ্নপত্র পৌঁছল প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে। খড়দহ উপেন্দ্র ভঞ্জ হাইস্কুলের ১৩৩ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছেন এই কেন্দ্রে। পরীক্ষাকেন্দ্রে অভিভাবকদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, প্রশ্নপত্র সঠিক সময়েই এসেছে। তবে নতুন সিলেবাসের বদলে পুরনো সিলেবাসের প্রশ্নপত্র এসেছে। ওড়িয়া ভাষার কোনও শিক্ষক না থাকার জন্যই এমন ঘটনা বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। স্কুলগেটে তালা দিয়ে দেওয়া হয়। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস।
পরীক্ষার আগে শুরু হয়েছিল অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে বিভ্রান্তি। তারপর সময় যত এগোল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ঘিরে ততই বিভ্রান্তির তালিকা বাড়ল। কোথাও দেরিতে প্রশ্নপত্র পৌঁছনো, কোথাও আবার পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়েই ভুল নোটিস। প্রথম দিনেই হয়রানির শিকার হল ছাত্রছাত্রীরা। 
রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেখালেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া যাবে। মঙ্গলবার রাতে সংসদের এই হঠাত্ নির্দেশে আশার আলো দেখেছিল ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু বুধবার পরীক্ষা শুরু হতেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের হয়রানির একাধিক ছবি ধরা পড়ল।
বনগাঁ যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাপিঠের ছাত্র-ছাত্রীদের জানানো হয়েছিল তাদের পরীক্ষাকেন্দ্র কেশবলাল বিদ্যাপীঠ। সেই মত বুধবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ওই স্কুলে যান তাঁরা। কিন্তু গিয়ে দেখে, সেখানে তাদের সিটই পড়েনি। খোঁজখবর নিয়ে অভিবাবকরা জানতে পারেন আসলে ওই পরীক্ষার্থীদের সিট পড়েছে বনগাঁ হাই স্কুলে। চরম ভোগান্তির পর পরীক্ষা শুরুর বেশ কিছুক্ষণ বাদে সঠিক পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছয় ওই পরীক্ষার্থীরা। 
 
উত্তর ২৪ পরগনার খড়দায় শিবনাথ স্কুলে ওড়িয়া প্রশ্নপত্র পৌঁছয় প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে। প্রশ্নপত্র পৌঁছনর পর দেখা যায় নতুন সিলেবাসের পরিবর্তে প্রশ্ন এসেছে পুরনো সিলেবাসে। খড়দহ উপেন্দ্র ভঞ্জ হাইস্কুলের ১৩৩ জন ছাত্র-ছাত্রী এই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, অনেক পরীক্ষার্থীই সাদা খাতা জমা দিতে বাধ্য হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, প্রশ্নপত্র সঠিক সময়েই এসেছে। ওড়িয়া ভাষার কোনও শিক্ষক না থাকায় এমন বিপত্তি বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। এরপরই স্কুলগেটে তালা দিয়ে দেওয়া হয়। মোতায়েন করা হয় পুলিস। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র নিয়ে সমস্যায় পড়ে বর্ধমানের একাধিক  স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রশ্নপত্রে কোন শ্রেণি বা কোন বোর্ডের পরীক্ষা তার কোনও উল্লেখ না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়।
বিভ্রান্তির একই ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার বা রাজ্যের একাধিক স্কুলে। অনেক ছাত্রছাত্রী ছবি ছাড়াই রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নিয়ে পরীক্ষায় বসছে। সে ক্ষেত্রে ভুয়ো ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার কড়া নিন্দা করলেন শিক্ষাবিদ সুনন্দ সান্যাল। তিনি বলেন, "শিক্ষায় গণতন্ত্রীকরণের বদলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।" উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তিকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। আজ সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা জানান,  তিনি বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছেন পরীক্ষার্থীদের উদ্বেগ বাড়িয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কেন? কেনই বা এবিষয়ে আগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সেবিষযেও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চান তিনি।

.