নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বর্ষার আগেই তুলে নেওয়া হচ্ছে ইলিশ
সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বর্ষার আগেই তুলে নেওয়া হচ্ছে ইলিশ। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এমনই বেআইনিভাবে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে মাত্স্যজীবীদের একাংশের বিরুদ্ধে। কড়া সরকারি নজরদারি এড়িয়ে এইভাবে ইলিশ তুলে নেওয়ায় ঘটনায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন মত্স্যজীবীরা। অভিযোগ উঠছে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তারও।
ওয়েব ডেস্ক: সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বর্ষার আগেই তুলে নেওয়া হচ্ছে ইলিশ। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এমনই বেআইনিভাবে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে মাত্স্যজীবীদের একাংশের বিরুদ্ধে। কড়া সরকারি নজরদারি এড়িয়ে এইভাবে ইলিশ তুলে নেওয়ায় ঘটনায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন মত্স্যজীবীরা। অভিযোগ উঠছে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তারও।
পূবালী হাওয়া আর ঝিরঝিরে বৃষ্টি মানেই বাতাসে ইলিশ ইলিশ গন্ধ। বর্ষার শুরুতেই ঝাঁকে ঝাঁকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা দিয়ে সুন্দরবনের নদীখাঁড়িগুলিতে প্রবেশ করে ইলিশের ঝাঁক। ভোজনরসিক বাঙালির পাতে সেরা ইলিশ তুলে দিতে সময়ের আগে ইলিশ ধরা রুখতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে সরকার। তবে সরকারি উদ্যোগের সবটাই যে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো তার জ্বলন্ত উদাহরণ সুন্দরবন।
গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং, কুলতলি, রায়দিঘী, পাথরপ্রতিমা সহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চলছে বেআইনিভাবে ইলিশ ধরার কাজ। আর অসময়ে রসনাতৃপ্তির লোভে খোলা বাজারে দেদার বিকোচ্ছে ছোট থেকে মাঝারি সব রকমের ইলিশ। অভিযোগ, এভাবেই অসময়ে লাভের গুড় খাচ্ছেন বেশ কিছু মত্স্যজীবী। ফলে কপালে ভাঁজ পড়েছে সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলা মত্স্যজীবীদের। অভিযোগ, এবিষয়ে তথ্য থাকা সত্ত্বেও নিষ্ক্রিয় প্রশাসন। আর প্রশাসনের নীরবতার সুযোগেই মুনাফা লুঠছেন অসাধু মত্স্যজীবীরা। অন্যান্য মত্স্যজীবীদের দাবি, অবিলম্বে শক্ত হাতে হাল না ধরলে ইলিশের মরশুমে পড়ে পড়ে মার খাবে তাঁদের ব্যবসা।