গোষ্ঠীদ্বন্ধ প্রকাশ্যে আসায় রায়গঞ্জে অস্বস্তিতে তৃণমূল

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ায় চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। আক্রান্ত তৃণমূল নেতা ভোলা পালকে দলের নেতা বা কর্মী হিসেবে মানতে নারাজ উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অমল আচার্য। তাঁর দাবি, ভোলা পাল দলের সাধারণ সমর্থক।

Updated By: Nov 22, 2012, 12:07 PM IST

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ায় চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। আক্রান্ত তৃণমূল নেতা ভোলা পালকে দলের নেতা বা কর্মী হিসেবে মানতে নারাজ উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অমল আচার্য। তাঁর দাবি, ভোলা পাল দলের সাধারণ সমর্থক। মন্ত্রী গৌতম দেব, সাবিত্রী মিত্র সহ জেলা সভাপতির সঙ্গে একাধিকবার বিভিন্ন অনু্ষ্ঠানে দেখা গেছে এই ভোলা পালকে। ফলে একদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অন্যদিকে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ঘিরে প্রবল অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরদিনাজপুরের রায়গঞ্জ। তৃণমূল নেতা ভোলা পালের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে ভোলা পালের পায়ে। ভোলা পালের বিরুদ্ধে পাল্টা খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলেন বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর এক তৃণমূল কর্মী। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চেহারা বেআব্রু হতেই অস্বস্তি কয়েকগুণ বেড়ে যায় জেলা নেতৃত্বের। সেই অস্বস্তি ঢাকতেই ভোলা পাল তাদের দলের কর্মী নন বলেই দাবি করেন জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অমল আচার্য। বুধবারও একই অবস্থান বজায় রেখেছেন জেলা নেতাদের একাংশ।
ভোলা পালকে তাদের দলের সাধারণ সমর্থক বলে বিষয়টি লঘু করার চেষ্টা করেছেন জেলা নেতাদের একটি গোষ্ঠী। কিন্তু মন্ত্রী গৌতম দেব, সাবিত্রী মিত্র, শঙ্কর চক্রবর্তী সহ জেলা সভাপতি অমল আচার্যের সঙ্গে একাধিকবার বিভিন্ন অনু্ষ্ঠানে দেখা গেছে এই ভোলা পালকে। শুধু তাই নয় মুকুল রায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন রেলের জমিতেই মন্দির এবং ক্লাব বানিয়েছেন তৃণমূল নেতা ভোলা পাল। ফলে গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে গিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। 

.