সালিশি সভায় বিচারের নামে বর্বরতা
বিচারের নামে বর্বরতা। ফের সালিশি সভার দাদাগিরি। নৃশংসতার নজির। শিকার হল ক্লাস নাইনের এক ছাত্রী। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার হরিশপুর গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য চরমে। গত দোসরা নভেম্বর ওই ছাত্রী হঠাত্ বাড়ি থেকে লালবাগে তার আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যায়। ওইদিনই গ্রাম থেকে গায়েব হয়ে যায় তারই এক সহপাঠী। অভিযোগ ওঠে, তারা দুজন একইসঙ্গে গ্রাম ছেড়েছে। এরপর ছয়ই নভেম্বর ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরলে, তাকে জেরার নামে শুরু হয় অত্যাচার। পরদিন তার সহপাঠীও ফিরে আসে এবং অভিযোগ করে, ওই ছাত্রী এবং তার বাবা মিলে তাকে বিক্রি করে দিয়ে পাচারের ছক কষেছিল। এই দাবির ভিত্তিতে বসে সালিশি সভা। যদিও থানায় অভিযোগ হয়নি। সালিশির নিদানেই এরপর ওই কিশোরীকে গাছে বেঁধে চলে অমানুষিক মারধর।
ওয়েব ডেস্ক: বিচারের নামে বর্বরতা। ফের সালিশি সভার দাদাগিরি। নৃশংসতার নজির। শিকার হল ক্লাস নাইনের এক ছাত্রী। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার হরিশপুর গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য চরমে। গত দোসরা নভেম্বর ওই ছাত্রী হঠাত্ বাড়ি থেকে লালবাগে তার আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যায়। ওইদিনই গ্রাম থেকে গায়েব হয়ে যায় তারই এক সহপাঠী। অভিযোগ ওঠে, তারা দুজন একইসঙ্গে গ্রাম ছেড়েছে। এরপর ছয়ই নভেম্বর ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরলে, তাকে জেরার নামে শুরু হয় অত্যাচার। পরদিন তার সহপাঠীও ফিরে আসে এবং অভিযোগ করে, ওই ছাত্রী এবং তার বাবা মিলে তাকে বিক্রি করে দিয়ে পাচারের ছক কষেছিল। এই দাবির ভিত্তিতে বসে সালিশি সভা। যদিও থানায় অভিযোগ হয়নি। সালিশির নিদানেই এরপর ওই কিশোরীকে গাছে বেঁধে চলে অমানুষিক মারধর।
আরও পড়ুন রিলায়েন্স জিও-র নতুন চমকদার অফার
সালিশি সভার নিদানে মেয়েকে নির্মমভাবে মার খেতে দেখে ছুটে যান মা। কিন্তু কেউ কথা কানে তোলেনি। প্রতিবাদ করেন ওই কিশোরীর বাবা। অভিযোগ, উল্টে মার খেতে হয়েছে তাঁকেও। এঘটনা জানাজানি হওয়ার পর, পুলিস গ্রামে পৌছে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে। অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনায় একজন গ্রেফতার হলেও, মূল অভিযুক্ত মোড়ল-মাতব্বররা এখনও ফেরার।