বোমা বাঁধতে গিয়ে বিষ্ফোরণে মৃত ২

ওয়েব ডেস্ক: ফের বোমা বাঁধতে গিয়ে বিপত্তি। এবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে। রাতে বিন্দেরপুরে বোমা বাঁধার সময়ে বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু দুজনের। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও একজন।
তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মানোয়ার শেখের নেতৃত্বেই চলছিল বোমা বাঁধার কাজ। এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার পঞ্চাশটিরও বেশি তাজা বোমা।
তবে এই প্রথম নয়। গত একবছর ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিকবার ঘটেছে এই ধরনের ঘটনা। এবছরের শুরুতেই ২২ জানুয়ারি বীরভূমের খয়রাশোলে বোমা বিপত্তিতে উড়ে যায় তৃণমূল নেতার বাড়ি। মৃত্যু হয় নেতার দুই ভাইয়েরও। সেক্ষেত্রেও পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূল নেতা শেখ জাবির হোসেনের বিরুদ্ধে বাড়ির মধ্যে বোমা বাঁধার অভিযোগ ওঠে। সামনে আসে গোষ্ঠী কোন্দলের তত্ত্বও। অভিযোগ ওঠে দেহ লোপাটেরও।
গত বছর ২৫ ডিসেম্বর মালদহের বৈষ্ণবনগরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় একজনের। তবে এই সব ঘটনাকেই ছাপিয়ে গিয়েছিল গত বছর ৬ মে, পিংলার ব্রাহ্মণবাড়ের ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩ জনের। পিংলাকাণ্ডেও অভিযোগ ছিল স্থানীয় তৃণমূলকর্মী রঞ্জন মাইতির বাড়িতে জমানো ছিল বোমা তৈরির প্রচুর মালমশলা। দাবি করা হয়, বেআইনি বাজি কারখানারও। একের পর এক এধরনের ঘটনাই প্রমাণ করছে, রাজ্যে চলছে সন্ত্রাসের রাজত্ব। অভিযোগ বিরোধী দলগুলির।