World Food Day: অন্ন চাই, প্রাণ চাই! বিশ্ব খাদ্য দিবসের 'লিভ নো ওয়ান বিহাইন্ড' থিমে যেন কবির আকাঙ্ক্ষাই ধ্বনিত...
World Food Day: সবে মাত্র গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ভারতের অবস্থা যথেষ্ট মলিন দেখিয়েছে। তা নিয়ে রাজনৈতিক মন্তব্যও ভেসে উঠেছে। আর এই প্রেক্ষিতেই আজ রবিবার বিশ্ব খাদ্য দিবস এসে গেল। যেদিনটি আসলে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের খাদ্যের অধিকারকে নিশ্চিত করার উপলক্ষেই পালিত হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতি বছর আজকের দিনে, মানে, ১৬ অক্টোবর 'ওয়ার্ল্ড ফুড ডে' পালিত হয়। বিশ্ব জুড়ে যেসব মানুষ ঠিক ভাবে খাবার পান না, অপুষ্টিতে ভোগেন, এ দিনটি তাঁদের দিকে লক্ষ্য করেই উদযাপিত হয়। মনে করিয়ে দেওয়া হয়, খাদ্যের অধিকার সকলের মৌলিক অধিকার। দিনটি উদযাপিত হয় 'দ্য ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন' বা 'এফএও' (ফাও)-এর তত্ত্বাবধানে। এ বছরে দিনটি যথাযথ ভাবে উদযাপন করার ব্যাপারে অনেকগুলি বাধা ছিল-- কোভিড-১৯ অতিমারী, জলবায়ু পরিবর্তন, মূল্যবৃদ্ধি, যুদ্ধ, রাজনৈতিক উত্তাপ। এই সব গুলি বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে। কিন্তু সব কিছুকে নিয়েই, সব কিছুকে অতিক্রম করেই দিনটি আজ বিশ্ব জুড়ে পালন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Global Hunger Index 2022: বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে আরও নীচে ভারত, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সমস্ত দেশের পিছনে...
খুব বেশি দিনের কথা নয়। ১৯৭৯ সালে হাঙ্গেরির কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রী ড. পল রোমানি প্রথম এই দিনটি পালনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রসংঘ এখন দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করে। এখন পৃথিবীর ১৫০ দেশে দিনটি উদযাপিত হয়।
প্রতি বছরই এ দিনটির একটি থিম থাকে। এ বছর 'ওয়ার্ল্ড ফুড ডে' তথা বিশ্ব খাদ্য দিবসের থিম হল-- 'লিভ নো ওয়ান বিহাইন্ড'। 'এবার ফিরাও মোরে' কবিতায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন 'অন্ন চাই, প্রাণ চাই, আলো চাই, চাই মুক্ত বায়ু,/ চাই বল, চাই স্বাস্থ্য, আনন্দ-উজ্জ্বল পরমায়ু,'। এবারের এ দিনটির থিমে যেন পরোক্ষে এই ভাবটিই দ্যোতিত, ধ্বনিত।
বিশেষত ভারতের জন্য এ বছর দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা, দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র আফগানিস্তান ছাড়া ভারত খাদ্যসূচকে সকলের শেষে। অর্থাৎ, খাদ্যাভাবে ভুগছে ভারতের অগণিত জনগণ। সেই হিসেবে এমন একটি দিনে ভারত নতুন করে প্রতিজ্ঞা নিতে পারে, যেন আগামী দিনগুলিতে সকলের মুখে খাদ্য তুলে দেওয়ার সংস্থান সে করতে পারে।