Viral: হাঁ করে তেড়ে আসা কুমিরকে খালি হাতে আদর মহিলার!
আমুদে কন্ঠে খালি হাতে একটি কুমিরকে শান্ত করছেন এক মহিলা, মুহূর্তেই ভাইরাল ভিডিয়োটি
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইন্টারনেটের দৌলতে এমন ঘটনা সামনে আসে যা দেখে সাধারণ মানুষের মনে শিহরণ খেলে যায়। বন্য প্রাণ বা বন্য জন্তু নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ বরাবরই প্রবল। আবার সে যদি কোনো সরীসৃপ হয় তবে সেই আগ্রহ হয়ে যায় দ্বিগুণ।
সম্প্রতি ইন্টারনেটে আপলোড হওয়া এমনই একটি ভিডিয়ো মন কেড়েছে নেটপাড়ার সকলের। ভয়ঙ্কর সুন্দর এই ভিডিয়োটি দেখে কারোর মনে হয়েছে ভালোবাসার দ্বারা সব সম্ভব আবার কেউ উঠেছে চমকে।
৮ মার্চ থেকে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ভিডিয়োতে এক মহিলাকে খালি হাতে একটি কুমিরকে শান্ত করতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: হিমালয়ে গাইড ছাড়া ট্রেকিং করা যাবে না, বড় সিদ্ধান্ত নিল নেপাল সরকার
১৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে জলা ঝোপ থেকে একটি কুমির তেড়ে আসছে, তবে বিশালাকৃতির ওই কুমিরকে দেখে পালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আমুদে কন্ঠে তাকে শান্ত হতে বলছে এক মহিলা। ঠিক এর পরেই হাত বাড়িয়ে হাঁ করে তেড়ে আসা মুখ বন্ধ করে দেন তিনি।
অদ্ভুত ভাবে ঘাসের উপর শুয়ে পড়ে কুমিরটি। এক মুহূর্ত পরে ফের তেড়ে আসতে চাইলে আদর করে তাকে থামিয়ে দেয় সেই মহিলা। খালি হাতে এইভাবে আক্রমণাত্বক এক কুমিরকে থামিয়ে দিতে দেখে স্তম্ভিত নেটপাড়া।
তবে এই ভিডিয়োটি কবে তোলা হয়েছিল এবং কোথায় তোলা হয়েছিল তা জানা যায়নি। ভিডিয়োটি এখনও পর্যন্ত ৬৪ হাজারের বেশী ভিউ পেয়েছে সঙ্গে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। মার্ভেল ফ্যানেরা এই ঘটনাটিকে হাল্কের সঙ্গে তুলনা করেছে।
আরও পড়ুন: Germany Shooting: এবার চার্চেই চলল গুলি, জার্মানির হামবুর্গে ভয়াবহ হত্যাকান্ড; মৃত ৬ আহত বহু
তবে কুমিরকে আদর করার ঘটনা এই প্রথম নয়। কেরালায় অনন্ত পদ্মনাভ স্বামী মন্দিরের জলাশয়ে এক কুমির মারা যাওয়ার পর তাকে শ্রদ্ধা জানাতে মন্দিরের দরজা বন্ধ রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। সত্তর বয়স বয়সী ওই কুমির 'বাবিয়া'ছিল শুদ্ধ শাকাহারী। মন্দিরের জলাশয়েই বাস ছিল বাবিয়ার। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে নিয়মিত নিরামিষ খাবার দেওয়া হত তাকে। দু'বেলা তার জন্য প্রসাদও ছিল বাঁধা। ওই মন্দিরের সংশ্লিষ্ট পুরোহিত জলাশয়ে গিয়ে তার নাম ধরে ডাকলেই সে দ্রুত জল থেকে উঠে আসত, খাবারও খেত পুরোহিতের হাতে।
সত্তর বয়স বয়সী হিংসা-ভোলা সদাশান্ত বাবিয়া একদিনের জন্যও কোনও মানুষ বা কোনও প্রাণীকে আক্রমণ করেনি। মারা যাওয়ার পর মন্দিরের কম্পাউন্ডেই কুমিরটিকে সমাহিত করা হয়।