প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ৫ তলা থেকে আত্মঘাতী প্রসূতি

ওয়েব ডেস্ক: বয়স ২৬, ছটফট করছিলেন প্রসব যন্ত্রণায়। দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই, বারবার তাই বসে পড়ছিলেন। কাকুতি মিনতি করছিলেন স্বামী ও পরিবারের অন্যান্যদের কাছে সিজারিয়ান ডেলিভারি করার অনুমতি দেওয়ার জন্য। তা সত্ত্বেও রাজি হয়নি তাঁর পরিবারের লোকজন।
তখন, ওই মহিলা গত ৪১ সপ্তাহ ধরে গর্ভবতী। চিকিৎসকরাও পরীক্ষা করার পর জানান, তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের মাথা বড় হওয়ায় ওই মহিলার পক্ষে নর্মাল ডেলিভারি হওয়া খুবই কঠিন। তবে মহিলার স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজন সেটা কিছুতেই মানতে রাজি নন। অগত্য অসয্য প্রসব যন্ত্রণা সত্ত্বেও তাঁকে নর্মাল ডেলিভারির জন্যই ফেলে রাখা হয়।
এই যন্ত্রণাকাতর ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে ইউটিউবে। এটি চিনের সংহাই প্রদেশের অন্যতম বড় হাসপাতাল ইউলিনের ঘটনা বলে জানা গিয়েছে।
চিনা নিয়ম অনুসারে সন্তানসম্ভবা মহিলার সিজার করা হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার। এক্ষেত্রে যিনি সন্তান জন্ম দেবেন তাঁর মতের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এই মহিলার ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে।
অগত্যা কষ্ট সহ্য না করতে পেরে হাসপাতালে ৫ তলা থেকে ঝাঁপ দেন বছর ২৬-এর ওই মহিলা। তারপর সব শেষ, গর্ভস্থ সন্তান ও মা দুজনেই।
আরও পড়ুন- সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিন