এ গ্রামে শীতে সূর্যের আলো পড়ত না, তাই নেওয়া হল এমন অবাক করা উদ্যোগ
ঠিক যেন 'পেরিস্কোপ। পাহাড় ঘেরা ছোট্ট গ্রাম ইতালীর ভিগানেলা। আল্পসের ঢালে অবস্থিত গ্রামটি ছবির মত সুন্দর। তবে, গভীর পাহাড়ি উপত্যকায় অবস্থিত হওয়ায় গ্রামটিতে একটি সমস্যা দেখা দেয়। আলো নেই, গ্রাম জুড়ে অন্ধকার। বছরের তিন মাস, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, সূর্যের মুখ দেখতে পায় না গ্রামবাসী। আসলে আল্পসের ঢালে গ্রামটি এমনভাবে অবস্থিত যে, সূর্যের আলো পাহাড়ে গায়ে ধাক্কা খেয়ে আর গ্রামে এসে পৌঁছায় না। কিন্তু, আলো ছাড়া চলবে কীভাবে? এদিকে, আলোর অভাবে গ্রামবাসীরা অসুস্থও হয়ে পড়তে থাকে। যার পোশাকি নাম 'সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার'।
ওয়েব ডেস্ক : ঠিক যেন 'পেরিস্কোপ। পাহাড় ঘেরা ছোট্ট গ্রাম ইতালীর ভিগানেলা। আল্পসের ঢালে অবস্থিত গ্রামটি ছবির মত সুন্দর। তবে, গভীর পাহাড়ি উপত্যকায় অবস্থিত হওয়ায় গ্রামটিতে একটি সমস্যা দেখা দেয়। আলো নেই, গ্রাম জুড়ে অন্ধকার। বছরের তিন মাস, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, সূর্যের মুখ দেখতে পায় না গ্রামবাসী। আসলে আল্পসের ঢালে গ্রামটি এমনভাবে অবস্থিত যে, সূর্যের আলো পাহাড়ে গায়ে ধাক্কা খেয়ে আর গ্রামে এসে পৌঁছায় না। কিন্তু, আলো ছাড়া চলবে কীভাবে? এদিকে, আলোর অভাবে গ্রামবাসীরা অসুস্থও হয়ে পড়তে থাকে। যার পোশাকি নাম 'সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার'।
অবশেষে, গ্রামে আলো আনতে উদ্যোগী হয় গ্রামবাসী। মাথা খাটিয়ে তারা এক ফন্দি বের করে। কাঁচের উপর আলো পড়লে ঠিকরে পড়ে। এটা সবাই জানে। আলোর প্রতিফলনের জন্যই এমনটা হয়। গ্রামে আলো আনতে ভিগানেলাবাসী কাজে লাগাল আলোর এই প্রতিফলনকেই। পাহাড়ের ঢালে বসানো হয় 'এত্ত বড়' একটা আয়না, ৮ মিটার চওড়া ও ৫ মিটার লম্বা। সেই আয়নার উপর এসে পড়ে সূর্যের আলো। আর সেই আলোই ঠিকরে এসে পড়ে গ্রামে। কম্পিউটারের মাধ্যমে সেই আলোকে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও করা হয়। এভাবেই আঁধার ঘুচিয়ে নিজেদের গ্রামে আলো নিয়ে আসে ভিগানেলাবাসী। সেইসঙ্গে বিশাল এই আয়না দেখতে ইতালীর ওই 'অখ্যাত' গ্রামে ভিড় বাড়তে থাকে পর্যটকদের।