তিস্তা জলবন্টন ও স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় বাতিল হতে পারে শেখ হাসিনার ভারত সফর
তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় বাতিল হয়ে যেতে পারে শেখ হাসিনার ভারত সফর। বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্র দেশের বিদেশমন্ত্রক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, ওই দুটি চুক্তিতে সম্মতি দেওয়া ছাড়া এই মুহূর্তে হাসিনাকে নতুন কিছু দেওয়ার নেই ভারতের। তাই এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সফরও অর্থহীন।
তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়ায় বাতিল হয়ে যেতে পারে শেখ হাসিনার ভারত সফর। বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্র দেশের বিদেশমন্ত্রক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, ওই দুটি চুক্তিতে সম্মতি দেওয়া ছাড়া এই
মুহূর্তে হাসিনাকে নতুন কিছু দেওয়ার নেই ভারতের। তাই এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সফরও অর্থহীন।
মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে এ মাসের শেষ দিকে ভারত সফরে আসার কথা ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কিন্তু তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি এবং স্থল সীমান্ত বা ছিটমহল চুক্তি বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় তাঁর সফর ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ডেইলি স্টার নামে বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্র কূটনৈতিক সূত্র উদ্ধৃত করে লিখেছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই দুটি চুক্তি বাস্তবায়িত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখছে না ঢাকা। এই অবস্থায় আশু কোনও লক্ষ্য না থাকায় হাসিনার ভারত সফরও অনেকটাই অর্থহীন হয়ে পড়েছে। আগে মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণ গ্রহণের সময় উল্টোটাই আশা করেছিলেন হাসিনা।
আগামী বছর জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে এই দুটি চুক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তুরুপের তাস। আন্তর্জাতিক বিষয়ে হাসিনার পরামর্শদাতা এর আগে পিটিআইকে জানিয়েছিলেন, দুটি চুক্তি বাস্তবায়িত না হলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ভারত বিরোধী ভাবনা আবার জেগে উঠতে পারে। যা
দেশের সরকারের স্বার্থ বিরোধী এবং দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে যে সৌহার্দ্যের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল তা-ও শ্লথ হয়ে পড়তে পারে। ডেইলি স্টার
জানাচ্ছে, এই অবস্থায় চুক্তি সঙ্কট মেটাতে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মনমোহন-হাসিনার আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা এবং দিল্লি।