Dead Body in Temple: মনাস্ট্রিতে মরণডাক! বৌদ্ধ গুম্ফায় ৭৩ লাশ, চলত সাধনা...

Thai Temple: মঠের ভিতর লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, এক-দুটো নয়, ৭৩টা লাশ। কোথা থেকে এল এত মৃতদেহ? কেনইবা জমানো হয়েছে মৃতদেহ? পুলিসের তল্লাশিতে উঠে এল হাড়হিম করা ঘটনা।

Updated By: Dec 3, 2024, 09:58 PM IST
Dead Body in Temple: মনাস্ট্রিতে মরণডাক! বৌদ্ধ গুম্ফায় ৭৩ লাশ, চলত সাধনা...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাড়হিম করা কাণ্ড! শুনলে আঁতকে উঠবেন তবে বাস্তবেই ঘটে যে এমন কাণ্ড। একটি বৌদ্ধ মঠ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৭৩ টি মৃতদেহ। মঠের ভিতর লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, এক-দুটো নয়, ৭৩টা লাশ। কোথা থেকে এল এত মৃতদেহ? কেনইবা জমানো হয়েছে মৃতদেহ? জানা যায় যে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হত এই মৃতদেহগুলো। তবে এখানেই শেষ নয়। ওই একই বৌদ্ধমঠে তল্লাশি চালিয়ে পুলিস উদ্ধার করেছে প্রায় ৬০০ কুমির। 

আরও পড়ুন- Jaya Ahsan: বাংলাদেশি জামদানির ধুতি শাড়িতে সাহসী জয়া মুম্বইয়ের রাতপরী!

মঠের মধ্যেই এক পুকুরে চাষ করা হত কুমিরের। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে। এই বৌদ্ধ মঠটি অবস্থিত থাইল্যান্ডের ফিচিট প্রদেশে। ১৬০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই মঠটির চারপাশে রয়েছে ঘন জঙ্গল। থিফাকসং পা সাংনায়াথাম নামে পরিচিত ওই মঠটি মূলত আধ্যাত্মিকতা চর্চার পীঠস্থান বলেই পরিচিত। সেখানেই তল্লাশি চালায় পুলিস। ২২ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে ৪১টি মৃতদেহ উদ্ধার করে ওই মঠ থেকে।

ভিক্ষুদের দাবি, এই মৃতদেহগুলি মঠের ভিক্ষুদের পরিবারের লোকেদের। অনেক সময় মৃত্যুর পর পরিবারের লোকেরা তাদের কাছে থাকতে চান। তাই তাদের দেহ এখানে এনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মঠের পুরোনো ভিক্ষুদের দেহও রয়েছে। পুলিসের তল্লাশিতে পাওয়া যায় বেশ কয়েকটি কফিনও। মৃতদেহের প্রমাণ হিসেবে পুলিসকে ডেথ সার্টিফিকেটও দেখান মঠের প্রধান।

সন্ধান মিলেছে খোলা হাওয়া বাতাস যুক্ত একটি ধ্যান কেন্দ্রের। মঠের ভেতরে রয়েছে ৪টে ডাইনিং হল। এতগুলো ডাইনিং হল কেন তার কারণ জানা যায়নি। মঠের ভেতরে রয়েছে একটি বড় পুকুর। সেখানেই পাওয়া যায় ৬০০ কুমির। মঠে যেসব দর্শনার্থীরা আসেন তারা এই কুমিরগুলো একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে দেখতে পান। মঠের প্রধান ভিক্ষু ফ্রা আজান সাই ফন পান্ডিতো দাবি করেছেন, এই কুমিরগুলি তাঁদের পোষা। 

আরও পড়ুন- Iman Chakraborty: লিলুয়া থেকে লস অ্যাঞ্জেলস! অস্কারের দৌড়ে 'ইমন'-কল্যাণ...
 

তবে এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই ২৬ নভেম্বর আরও একটি মঠ থেকে পাওয়া যায় ৩২টি মৃতদেহ। সেই মঠটি  ফিচিট প্রদেশে অবস্থিত, নাম ব্যাং মুন নাক। ইতোমধ্য়েই দুটো মঠেরই সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে থাই পুলিস। মৃতদেহগুলো কাদের তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। মঠের দাবি যে ধ্যানের শেখানোর জন্যই মৃতদেহগুলো ব্যবহার করা হয়। এই থেকে ভিক্ষুরা মৃত্যু ভয় কাটিয়ে ওঠেন। 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.