PM Modi in Shinzo Abe's Funeral: শিনজো আবের শেষকৃত্যে মোদী, দেখা করবেন নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর সঙ্গেও...
PM Modi in Shinzo Abe's Funeral: দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। ভারতের বিদেশ দফতরের কথায়-- ভারত-জাপান সামগ্রিক সম্পর্কের উপর কিছু জরুরি আলোচনা করবেন দুই নেতা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেগুলির গুরুত্ব অসীম। জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টোকিয়ো পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদী। চলতি বছরের জুলাই মাসে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপর হামলা চালায় এক আততায়ী। সেই হামলার জেরেই মৃত্যু হয় আবের। আজ, মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় টোকিয়োর নিপ্পন বুদোকান ইন্ডোর এরিনায় আবের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। এবারের জাপান-সফরে মোদী শিনজোর স্ত্রী আকি আবের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে ঠিক আছে। তবে, প্রধানমন্ত্রীর এ বারের জাপান সফরে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই। কেননা শিনজোর অনুষ্ঠানে অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা এলেও সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন হচ্ছে না। তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার সঙ্গে বৈঠক হবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর।
কী হবে সেই বৈঠকে?
আরও পড়ুন: Nuclear Blackmail: পশ্চিমি বিশ্বকে কড়া হুঁশিয়ারি পুতিনের, বাড়াচ্ছেন সেনার সংখ্যাও...
দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। ভারতের বিদেশ দফতরের কথায়-- ভারত-জাপান সামগ্রিক সম্পর্কের উপর কিছু জরুরি আলোচনা করবেন দুই নেতা। এই সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি, অভিমুখ ও ভবিষ্যৎ কী-- আলোচনা হবে তা নিয়েও। চলতি বছরে এই নিয়ে তিন বার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মোদী। মার্চ মাসে ফুমিও কিশিদা দিল্লি এসেছিলেন। তার পরে কোয়াড বৈঠকে যোগ গিতে জাপানে যান মোদী। সেখানে তাঁদের আলাদা বৈঠক হয়। এবং আবার এবারে।
আবের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী-সহ ২০ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা উপস্থিত থাকবেন। তা ছাড়া, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, রুশ প্রেসিডেন্টের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত, চিনের রাজনীতি বিষয়ক পরামর্শদাতা কমিটির ভাইস চেয়ারপার্সন-সহ থাকবেন প্রায় ১০০ দেশের শীর্ষকর্তারা। শেষকৃত্যে আসার কথা কমপক্ষে ৬ হাজার আমন্ত্রিতের। খরচ অন্তত ১.২ কোটি ডলার।
জাপান সরকারের এই সময়ে এত বিপুল অর্থ খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নাগরিকেরা। বিপুল খরচে এই অনুষ্ঠান করার পক্ষপাতী নন ৬২ শতাংশ জাপানবাসী। তাঁদের দাবি, অতিমারীতে বিধ্বস্ত জাপানের অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে এমনটা না হলেও চলত।