রাষ্ট্রসংঘের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, প্যালেস্তাইন এখন `স্বাধীন রাষ্ট্র`

ইজরায়েল ও তৎসহ আমেরিকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই প্যালেস্তাইন স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৩৮টি দেশ প্যালেস্তাইনের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি প্রদান করেন। ভারতও এই প্রস্তাবে সর্মথন করেছে। শুরু থেকেই আমেরিকা ও ইজরায়েল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা চালাচ্ছিল। কানাডা ও চেক রিপাবলিক সহ ৯টি দেশের সর্মথনও জোগার করে ফেলে তারা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ভোটদানে বিরত থাকে ব্রিটেন ও জার্মানি সহ ৪১টি দেশ।

Updated By: Dec 1, 2012, 12:58 PM IST

ইজরায়েল ও তৎসহ আমেরিকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই প্যালেস্তাইন স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পাচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানের অধিকার এখনও অধরা থাকলেও দর্শকাসনে বসতে পারবে প্যালেস্তাইন। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৩৮টি দেশ প্যালেস্তাইনের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি প্রদান করেন। ভারতও এই প্রস্তাবে সর্মথন করেছে। শুরু থেকেই আমেরিকা ও ইজরায়েল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা চালাচ্ছিল। কানাডা ও চেক রিপাবলিক সহ ৯টি দেশের সর্মথনও জোগার করে ফেলে তারা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ভোটদানে বিরত থাকে ব্রিটেন ও জার্মানি সহ ৪১টি দেশ।
রাষ্ট্রসংঘে প্যালেস্তাইনের রাষ্ট্র মর্যাদা স্বীকৃতি পাওয়ার ভোটের আগে সেদেশের রাষ্ট্রপ্রধান মাহমুদ আব্বাস বলেন, "এই ভোটের মাধ্যমে প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের জন্মের সার্টিফিকেট পেতে চলেছে। চরম সামরিক অত্যাচার, অবরোধ, জাতিগত বিদ্বেষ, ইজরায়েলের ঔপনিবেশক দখলের সাক্ষী থেকেছে... সময় এসেছে সেই নিপীড়নকে `না` বলার।
রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে এবার প্যালেস্তাইন হেগ-এর আন্তজার্তিক আদালতে অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে আর্জি জানাতে পারবে। ইজরায়েলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারবে প্যালেস্তাইনের জনগণ। স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা হওয়ার পরই বাধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস দেখা যায় গাজা, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এই স্বীকৃতি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন করে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে এমনই মনে করছেন সে দেশের মানুষ। রাষ্টসংঘে ১৯৩টি দেশের সঙ্গে প্যালেস্তাইনের পতাকা উড়তে দেখা যাবে খুব শীঘ্রই।
এদিকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু প্যালেস্তাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতিকে অস্বীকার করে বলেছেন, এটা একটা অর্থহীন সিদ্ধান্ত। বাস্তবক্ষেত্রে শান্তি কখনও ফিরে আসবে না। আলোচনা করলে সঠিক পথ বেরিয়ে আসতে পারত কিন্তু রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতিতে কোনও সমাধান হবে না। নেতানিয়াহুর এই প্রতিক্রিয়াই স্বাভাবিক বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন গাজাতে একধিকবার আক্রমণ চালিয়েছে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী। গত মাসেই ইজরায়েল ক্রমাগত আক্রমণ চালায় গাজাতে। এর ফলস্বরুপ বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে। মৃত্যু সরণীতে নিরপরাধ মহিলা ও শিশুর সংখ্যাও ছিল প্রচুর। ইজরায়েলের এই আক্রমণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় বিশ্ববাসী।

.