অর্থনীতিতে নোবেল দুই মার্কিনীর
দুহাজার এগারো সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই মার্কিন অর্থনীতিবিদ। আজ থমাস সার্জেন্ট ও ক্রিস্টোফার সিমসের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। ম্যাক্রো ইকোনমির কার্য-কারণ সম্পর্ক নিয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য তাঁদের পুরস্কৃত করা হল।
দুহাজার এগারো সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই মার্কিন অর্থনীতিবিদ। আজ থমাস সার্জেন্ট ও ক্রিস্টোফার সিমসের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। ম্যাক্রো ইকোনমির কার্য-কারণ সম্পর্ক নিয়ে
মৌলিক গবেষণার জন্য তাঁদের পুরস্কৃত করা হল। সার্বিক অর্থনীতির কাঠামোর প্রেক্ষিতে পরিবর্তনের কারণ এবং তার প্রভাব। এই বিষয়টি নিয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য দুহাজার এগারো সালের অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই মার্কিন অধ্যাপক টমাস সার্জেন্ট এবং ক্রিস্টোফার সিমস। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য এবং অর্থনীতি বিষয়ের বার্কলে অধ্যাপক পদে কর্মরত সার্জেন্ট ম্যাক্রো ইকনমি নিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কাজ করেছেন। তিনিই সেই অর্থনীতিবিদ, যিনি সাতের দশকে ম্যাক্রো ইকনমির দুরহ কিছু বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেছিলেন। ম্যাক্রো ইকনমির ব্যবহারিক যে সমস্ত সমস্যা মাঝেমধ্যেই সামনে চলে আসে, সেগুলির সমাধান সূত্রই বের করেছিলেন এই মেধাবী মানুষটি। নোবেল পাওয়ার সার্জেন্টের যে ভাবনাটি কাজ করেছে, তা হল অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফলকে দৈনন্দিন জীবনে এমনকি পারিবারিক অর্থনীতিতেও কীভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, সেই ইতিবাচক সংযোজন। সার্জেন্টের সঙ্গেই দুহাজার এগারো সালের অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ভাগ করে নিচ্ছেন আরেক মার্কিন অধ্যাপক ক্রিস্টোফার সিমস। তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি এবং ব্যাঙ্কিং বিষয়ের অধ্যাপক। ম্যাক্রো ইকনমির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে ক্রিস্টোফার সিমসের কিছু গবেষণাপত্র সেই আটের দশক থেকেই উল্লেখযোগ্য সংযোজন। ইতিহাসকে পর্যালোচনা করে সিমস দেখিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে অর্থনীতির ওঠাপড়ার প্রভাব কীভাবে ম্যাক্রো ইকনমির ভ্যারিয়েবলসকে প্রভাবিত করে। এবং সুদীর্ঘ সময় পরেও তার প্রভাব কার্যকরী থেকে যায়। নতুন এই তত্ত্ব ছাড়াও বিভিন্ন দেশের সরকারের গৃহীত নানারকম আর্থিক নীতি নিয়েও গবেষণা করেছেন সিমস। পাশাপাশি তিনি এও দেখিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারণে আর্থিক নীতির ছোটখাটো পরিবর্তনের ফলে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে অর্থনৈতিক প্রগতির পথ। অর্থনীতির জগতে সাধারণত বলা হয়ে থাকে, ম্যাক্রো ইকনমিই হল ভবিষ্যতের কর্মপন্থা। তার বাড়বৃদ্ধির দিকে সঠিকভাবে লক্ষ্য রাখাটা জরুরি। মুদ্রাস্ফীতি বা করভার লাঘব কিংবা নতুন কর সংযোজনের মতো আপাতদৃষ্টিতে ছোটখাটো বিষয়গুলি পরবর্তী প্রগতির পথে কীভাবে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, সেদিকেই আলোকপাত করেছেন এই দুই গবেষক। নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হল সেই উদ্যোগ।