MRO Shows Image Of Teddy Bear: মঙ্গলগ্রহে আস্ত এক ভালুক এল কোথা থেকে? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা...
Image Captured by Mars Reconnaissance Orbiter Shows a Teddy Bear: কেমন ভূপ্রকৃতি মঙ্গলের? পাথুরে, শক্ত। খাঁড়ি, গিরিখাত, আগ্নেয়গিরিতে পূর্ণ। উপর থেকে দেখলে অনেক সময়েই মঙ্গলের ভূপ্রকৃতির আশ্চর্য সব আকার দেখা যায়। যা থেকে একটা ইলিউশন তৈরি হয়। কিন্তু তাই বলে ভালুক?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেমন ভূপ্রকৃতি মঙ্গলের? বেশ একটু পাথুরে, শক্ত। খাঁড়ি, গিরিখাত, আগ্নেয়গিরিতে পূর্ণ। উপর থেকে দেখলে অনেক সময়েই মঙ্গলের ভূপ্রকৃতির আশ্চর্য সব আকার দেখা যায়। যা থেকে যেন একটা ইলিউশন তৈরি হয়। ১৯৭৬ সালে ভাইকিং ১ স্পেসক্র্যাফ্ট প্রথম এই ধরনের কিম্ভূত আকারের খোঁজ পায়। সম্প্রতি এমআরও (MRO) বা মার্স রিকননাইসাঁ অরবিটার মঙ্গলভূমির এক মিষ্টি ছবি তুলে ধরল। তারা এমন একটি ছবি তুলেছে, তাতে মনে হচ্ছে যেন মঙ্গল থেকে একটি ভালুকছানা মিষ্টি করে তাকিয়ে আছে!
তাই রসিকতা করে বলা হচ্ছে, মঙ্গলগ্রহের মাটিতে টেডি বিয়ার খুঁজে পেয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলগ্রহ থেকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে যেন হাসছে টেডি বিয়ার। নাসার মঙ্গল পরিক্রমাকারী অরবিটার ক্যামেরাতে দেখা গিয়েছে লাল গ্রহের এই হাসিমুখ। মঙ্গলের মাটিতে এমন ভাবে কিছু গর্ত তৈরি হয়েছে, যা টেডি বিয়ারের হাসিমুখের আকার ধারণ করেছে। ইউনিভার্সিটি অফ আরিজোনার তরফে ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
ছবিতে দেখা গিয়েছে, দু’টি প্রায় সমান আকারের গোল গর্ত। সেগুলি ভল্লুকের চোখের আকার ধারণ করেছে। নাকের জায়গায় দেখা গিয়েছে গোল আর একটি চিহ্ন। আর তার ঠিক নীচে বাঁকা আর একটি গর্ত, গোলাকারই, যেটি ভালুকের হাসিমুখের আদল নিয়েছে যেন। নাসার তরফে এই ছবি ব্যাখ্যা করে জানানো হয়েছে, মঙ্গলের মাটিতে 'ভি' আকৃতির একটি পবর্ত রয়েছে। সেই পর্বতের খাঁজটিই ভালুকের নাকের আকার নিয়েছে। এ ছাড়া, দু’টি বড় বড় গর্ত পাশাপাশি ভালুকের চোখের আদল তৈরি করেছে। আর মঙ্গলের মাটির ভাঙাচোরা বৃত্তাকার শিলা ভালুকের মাথার আদল নিয়েছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, নাকের আদলে যে পর্বতটির আভাস পাওয়া গিয়েছে, তা আগ্নেয়গিরিও হতে পারে। স্তরে স্তরে লাভা জমে গিয়েও ওই আকৃতি তৈরি হয়ে থাকতে পারে।
বিজ্ঞানীরা জানান, মঙ্গল গ্রহে আগ্নেয়গিরির ক্রমাগত উদ্গীরণ, লাভার প্রবাহ এবং তার সঙ্গে বাতাসের মিশ্রণ ইত্যাদি একত্রিত হয়ে মাঝেমাঝেই সেখানে এমন নানা কিম্ভুত আকারের নিদর্শন মেলে। কক্ষপথ থেকে গ্রহের দিকে তাক করে রাখা নাসার ক্যামেরায় সেই আকার ধরা পড়ে প্রায়ই। মঙ্গল পরিক্রমাকারী অরবিটারের সাম্প্রতিক আবিষ্কার লাল গ্রহের টেডি বিয়ার।