Bangladesh: মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার-সহ ৮ দফার দাবিতে ফের রাস্তায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা

Bangladesh: গত ১৩ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আট দফা দাবি পেশ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। তাদের স্বার্থ ও অস্তিত্ব রক্ষায় অবিলম্বে আট দফার বাস্তবায়ন চান তাঁরা।

Updated By: Nov 2, 2024, 06:58 PM IST
Bangladesh: মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার-সহ ৮ দফার দাবিতে ফের রাস্তায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা

সেলিম রেজা ও মোহাম্মদ আলি সুমন | ঢাকা: বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ও অস্তিত্ব রক্ষায় ৮ দফা দাবি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তদন্ত এবং মানবাধিকার নেতা-সহ বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত 'হয়রানিমূলক মিথ্যা' মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এবার বাংলাদেশব্যাপী আজ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরওপড়ুন-'জঙ্গিদের মেরে ফেলা উচিত নয়', কী করার প্রস্তাব দিলেন ফারুক আবদুল্লা?

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বাধীন ‘সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার’ উদ্যোগে শনিবার বিকেলে ঢাকা-সহ সারা বাংলাদেশের জেলা ও মহানগরে এই কর্মসূচি পালিত হয়। আজ ঢাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে।

গত ১৩ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আট দফা দাবি পেশ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। তাদের স্বার্থ ও অস্তিত্ব রক্ষায় অবিলম্বে আট দফার বাস্তবায়ন চান তাঁরা।

আট দফার মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনপূর্বক দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা, সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করার পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা।

ওইসব দাবির পাশাপাশি রয়েছে দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন করা; সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা কক্ষ বরাদ্দ করা, সংস্কৃত ও পালি শিক্ষাবোর্ড আধুনিকিকরণ করা, শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি দেওয়া। পাশাপাশি প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান প্রধান ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় ছুটি প্রদান করা।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল) 

.