অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে হাসিঠাট্টায় মেতে ওঠেন তো? না করলেই বিপদ, যেতে পারে চাকরি...
একুশে আইন! প্রায় তাই-ই। না হলে, হাসাহাসি করতে না পারায় কারও চাকরি যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু তেমন আশ্চর্যই ঘটল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক ব্যক্তির হঠাৎই চাকরি চলে গিয়েছিল! কোন অভিযোগে? তা অবশ্য একেবারেই ব্যতিক্রমী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি নাকি একদমই মজা করতে পারেন না। সহকর্মীরা যখন হাসিঠাট্টা রঙ্গরসিকতায় মেতে ওঠেন, তখন তিনি তাতে যোগ দেন না, চুপ করে থাকেন। সেটাই তাঁর অপরাধ। এরকম অদ্ভুত অভিযোগে চাকরি হারিয়ে ওই ব্যক্তিও অবশ্য হাতপা গুটিয়ে বসে থাকেননি। মামলা ঠুকে দিয়েছিলেন অফিস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মাঝে অনেক বছর কেটে গিয়েছে। অবশেষে আদালত তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছেন। মামলায় জয়ী হয়েছেন তিনি। ওই ব্যক্তির নাম–পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাঁর পরিচয় ‘টি’ নামে প্রকাশ করা হয়েছে। ঘটনাটি ফ্রান্সের । ওই ব্যক্তি কিউবিক পার্টনার্সে কনসালটান্ট পদে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগুন! লকডাউনের দোহাই দিয়ে তবুও বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হল না; মৃত ১০...
‘টি’ নামক ব্যক্তিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার ব্যাপারে ঠিক কী সাফাই দিয়েছে কোম্পানি?
কোম্পানির তরফ থেকে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, 'টি' নামক ব্যক্তিটি যথেষ্ট ‘মজার’ নন। তিনি 'প্রফেশনালি ইনসাফিসিয়েন্ট'। সপ্তাহান্তে সহকর্মীরা যখন আনন্দে মেতে ওঠেন, পান-ভোজন করেন তখন সেই সব আয়োজনে যোগ দেন না 'টি'। এতে তাঁর সঙ্গে দলগত ভাবে কাজ করতে বাকিদের সমস্যা তৈরি হয়।
যদিও মামলার চূড়ান্ত রায় আদালত জানিয়ে দেয়, এই অদ্ভুত কারণে কাউকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা যায় না। আদালত বলে, প্রত্যেকের স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ওই ব্যক্তি সহকর্মীদের সঙ্গে আনন্দ-আয়োজনে যদি অংশ নিতে না চান, তবে না নিতেই পারেন! এটা তাঁর ব্যক্তিগত রুচি ও পছন্দের বিষয়। এ জন্য তাঁকে চাকরিচ্যুত করা চলে না।
মামলা জিতলেও ওই ব্যক্তি তাঁর পুরনো কর্মস্থলে ফিরতে চান কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।