সোশ্যাল মিডিয়ায় লন্ডনে বিস্ফোরণের হুমকি দিল আইসিস
সন্ত্রাস বনাম শান্তির লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করল আইসিস। একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় লন্ডনে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দিয়েছে দুনিয়া কাঁপানো এই জেহাদি সংগঠন। ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া কি পরমাণু শক্তিধর জঙ্গি সংগঠন?
গত জুলাইয়ে ইরাকের মসুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউরেনিয়াম চুরি যাওয়ার পর থেকেই এই প্রশ্নটা তীব্র হয়েছে। এবার হাটে হাঁড়ি ভাঙল আইসিস নিজেই। দ্য মিরর সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য বলছে, হামায়ুন তারিক নামে এক ব্রিটিশ বোমা বিশেষজ্ঞ সোশ্যাল মিডিয়ায় লন্ডনে পরমাণু বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছে। কে এই হামায়ুন তারিক? জানা গেছে, পশ্চিমি দেশগুলির বিরুদ্ধে অন লাইনে যে সব জঙ্গি ফতোয়া ঘোষণা করেছিল, তারিক তাদেরই একজন। ২০১২ সালে ডাডলের বাড়ি ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যে চলে যায় সে।
মুসলিম আল ব্রিটানি নাম নিয়ে তারিক তার টুইটার অ্যাকাউন্টে যা লিখেছে, তা হল এই রকম। ইরাকের মসুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিস জঙ্গিরা রেডিও অ্যাক্টিভ মেটিরিয়াল খুঁজে পেয়েছে এবং তাদের হাতে ডার্টি বম্ব আছে। ডার্টি বম্ব কীভাবে কাজ করে, জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণ হলে তা কতটা ভয়াবহ আকার নেয়, এসব নিয়েই আইসিস জঙ্গিরা পড়াশোনা করছে বলে জানিয়েছে তারিক। কিন্তু চিন্তা বাড়িয়েছে টুইটারে লেখা তার পরের কথাগুলো। ব্রিটিশ আইসিস সমর্থক লিখেছে, লন্ডনে যদি ডার্টি বম্ব বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, তা হলে তা হবে দারুণ ভাবে মারাত্মক।
তারিকের মন্তব্যে সমর্থন জানিয়ে তাদের হাতে মসুল থেকে সংগৃহীত রেডিও অ্যাক্টিভ উপাদান থাকার কথা টুইটারে স্বীকার করে নিয়েছে অন্য আইসিস যোদ্ধারাও। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, আইসিসের নিশানায় কি তাহলে লন্ডন? কমেন্ট পোস্ট করার পর থেকেই ব্রিটিশ আইসিস জঙ্গি তারিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট বাতিল দেখাচ্ছে। ঘটনায় বিচলিত ইরাকে নিযুক্ত রাষ্ট্র সংঘের দূত মহমদ আলি আলহকিন। আইসিস যে ইরাকের বিভিন্ন প্রান্ত ঘেঁটে পরমাণু বোমা তৈরির উপকরণ সংগ্রহ করছে, তা চিঠি লিখে রাষ্ট্র সংঘের মহাসচিব বান কি মুনকে জানিয়েছেন তিনি।