হিংসা ফিরল ইরাকে, লাগাতার হামলায় মৃত কমপক্ষে ৬০ জন
ইরাকে লাগাতার বোমা বিস্ফোরণ ও গোলাগুলিতে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৬০ জনের। আহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর বৃহস্পতিবারের মতো এত বড় ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছে সে দেশের সরকার।
ইরাকে লাগাতার বোমা বিস্ফোরণ ও গোলাগুলিতে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৬০ জনের। আহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর বৃহস্পতিবারের মতো এত বড় ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছে সে দেশের সরকার। পুলিস জানিয়েছে, এদিন দেশের শিয়া অধ্যুষিত এলাকা ও কয়েকটি নির্দিষ্ট পুলিস চেকপয়েন্টেই হামলা চালানো হয়েছে। আল কায়েদা সঙ্গে জড়িত সুন্নি মুসলিমরাই হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
যদিও হামলার দায় এখনও কোনও সংগঠন স্বীকার করেনি। ইরাক প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজধানী বাগদাদে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে মারা গিয়েছেন ৯ জন। কমপক্ষে ২ জন মারা গিয়েছে বাগদাদের উপকন্ঠে বাকুবায়। এছাড়াও উত্তর বাগদাদের শিয়া অধ্যুষিত এলাকা কাধিমিয়ায় গাড়ি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। বাগদাদের সারাফিয়া জেলায় একটি পুলিস চেকপয়েন্টে ৬ জন পুলিসকে গুলি করে হত্যা করেছে এক দল বন্দুকবাজ। আল মানসুরে একটি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ২ ও গুরুতর আহত ৫ জন। এছাড়াও হামলা চলেছে দক্ষিণ বাগদাদের সাইদিয়া, মসুল, কিরকুক ও সালাউদ্দিন প্রদেশ সহ বিভিন্ন জায়গায়। এই হিংসায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। হিংসা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাগদাদের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কার্ফু জারি করা হয়েছে।
গত সপ্তাহেই বাগদাদের ইরাকি পুলিস অ্যাকাডেমিতে একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে প্রাণ হারান কমপক্ষে ১৮ জন। সেই হামলায় অর্থ সাহায্য করার অভিযোগে ইরাকের প্রবীণ সুন্নি রাজনৈতিক নেতা তথা ইরাকের ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিক আল হাসেমির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর পর থেকেই ক্ষোভের সঞ্চার হয় সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে। তাই বৃহস্পতিবারের হামলায় হাসেমি জড়িত থাকার অভিযোগও উঠছে বিভিন্ন মহলে। যদিও একটি টিভি চ্যানেলে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসেমি।