Himba Tribe: এই জনগোষ্ঠীর মহিলারা সারা জীবনে মাত্র একবার স্নান করেন!
আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিম নামিবিয়ার কুয়াইনান প্রদেশে বসবাসকারী হিম্বা উপজাতির মহিলারা বিবাহের দিন স্নান করেন এবং বাকি জীবন নানান উপায়ে নিজেকে তাজা রাখেন। মূলত মরুভূমীর জলবায়ু ও জলের অভাবের জন্যই এইপ্রকার নিয়ম তৈরী হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তাঁরা স্নানের পরিবর্তে বিশেষ ভেষজ ব্যবহার করেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবাক পৃথিবী, অবাক করলে তুমি...! সলিল চৌধুরীর গানটি সম্পূর্ণ অন্য প্রেক্ষিতে রচিত, কিন্তু এই ঘটনা জানলে এই অমোঘ লাইনগুলিই মনে বাজতে বাধ্য। ভাবুন তো, টানা ৭ দিন আপনারা ভরা গরমে স্নান (Bath) করেননি! কী ঘটবে? তুলকালাম ! তাইতো ? তবে এই ঘটনাটি ঘটছে।বরং আরও সাঙ্ঘাতিক চেহারায় ঘটছে, অথচ পৃথিবী মোটেই রসাতলে যাচ্ছেনা। কোথায় ? জানতে চাইলে পড়তে থাকুন। সে এক আজব জনজাতির কথা। যাঁদের গোষ্ঠীর মহিলারা (Women) সারা জীবন জল ছুঁয়ে বাঁচার অধিকার পান না। স্নান তো দূরের কথা, গায়ে জল পড়ে একবার! গোটা জীবনে, একবারই! বিয়ের দিন ! জাস্ট ভাবুন ! এমনকি তাদের জামা-কাপড় কাচার জন্যও জল ছোঁয়ার অনুমতি নেই। কিন্তু কেন এরকম অদ্ভুত নিয়ম? বা কীভাবে তারা নিজেদের পরিষ্কার রাখে ? নিশ্চয়ই মনে এরকম নানান প্রশ্নের উদয় হচ্ছে। ৯ অগস্ট, বিশ্ব আদিবাসী দিবসে (World Tribal Day) জেনে নেওয়া যাক এঁদের জীবন-যাপন সম্পর্কে।
আরও পড়ুন: Imran Khan: ঘড়ি বেচে মহা-ফাঁপরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী! পেলেন আইনি নোটিস
এই অদ্ভুত রীতি দেখা যায় আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিম নামিবিয়ার কুয়াইনান প্রদেশে বসবাসকারী হিম্বা উপজাতির মহিলাদের মধ্যে। এই জনগোষ্ঠীর মানুষেরা জীবনের বিশেষ দিনগুলিকে উজ্জাপনের জন্য নানান রীতি মেনে চলে। যেমন নবজাতকদের পুঁতির নেকলেস দিয়ে সজ্জিত করে রাখা হয়। তেমনই শুধুমাত্র বিবাহের দিন মহিলারা স্নান করেন এবং বাকি জীবন নানান উপায়ে নিজেকে তাজা রাখেন। মূলত মরুভূমীর জলবায়ু ও জলের অভাবের জন্যই এইপ্রকার নিয়ম তৈরী হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তাঁরা স্নানের পরিবর্তে বিশেষ ভেষজ ব্যবহার করেন। এই ভেষজের ধোঁয়ায় তাঁদের শরীর সতেজ থাকে। ভেষজটির ঘ্রাণ ভাল হওয়ার পাশাপাশি শরীরকে জীবাণুমুক্ত রাখে। এছাড়াও এখানকার মহিলারা তাঁদের শরীরকে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করতে প্রাণীজ চর্বি এবং হেমাটাইটের দ্রবণ দিয়ে তৈরি একপ্রকার বিশেষ লোশন ব্যবহার করেন।এই কারণেই এঁদের ত্বক লাল হয়ে যায়।
এই হিম্বা উপজাতির জনগণ মূলত কৃষক হয়। তাঁরা বিভিন্ন প্রজাতির গবাদি পশু বিশেষ করে ছাগল,ভেড়া ইত্যাদি লালন-পালন করেন। মহিলারা মূলত বাড়ির কাজ করে থাকেন। জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ, পানীয় জলের সন্ধান, রান্না করে খাবার পরিবেশন - এইসকল কাজের পাশাপাশি দক্ষতার সাথে নানান হস্তশিল্পের কাজও করে থাকেন। এরা ধর্মীয় হওয়ার পাশাপাশি সংস্কৃতির ধারা বজায় রাখার বিষয়ে বেশ কঠোর হয়। তাই তাঁরা নির্জনে বসবাস করে। এই সম্প্রদায়ের পুরুষরা বহুগামী হতে পারে এবং মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যায়। আরও নানা অদ্ভুত রীতিনীতি মেনেই এই হিম্বা উপজাতি নিজেরদের মতো করে দিব্যি আছে, আমার আপনার মতোই।