উদ্ধারকার্য চলছে, গুয়েতমালায় বাড়ছে মৃত-নিখোঁজের সংখ্যা
রবিবার, স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ প্রবল বিস্ফোরণে জেগে ওঠে ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি। বিস্ফোরণ এতটাই প্রকট ছিল যে সে দিনই মৃত্যু হয় কমপক্ষে ২৫ জনের। প্রায় দু হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হন
নিজস্ব প্রতিবেদন: উদ্ধারকার্য অব্যাহত গুয়েতমালায়। ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে আপাতত মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। এর মধ্যে ২৩জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ কমপক্ষে ১৯২ জন। রবিবার, গুয়েতমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি হঠাতই জেগে ওঠার পর কার্যত বিপর্যয়ের মুখে গুয়েতমালা।
আরও পড়ুন- ট্রাম্প-কিম কাছাকাছি এলেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে: হোয়াইট হাউস
তিন দিন ধরে টানা উদ্ধারকার্য চলিয়ে যাচ্ছে গুয়েতমালার প্রশাসন। পুরু ছাইয়ে ঢেকে গিয়েছে আগ্নেয়গিরি সংলগ্ন গোটা এলাকা। প্রায় ১৬ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বিষাক্ত ধোঁয়া ভেসে বেড়াচ্ছে। ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির ২১ মাইল দূরে রাজধানী গুয়েতমালা সিটি। সেখানেও তার প্রভাব পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গুয়েতমালার এই বিপর্যয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। সেখানে পৌঁছিয়ে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি মেডিক্যাল টিম। বেশ কিছু অসুস্থ শিশুকে টেক্সাস হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে বলে সূত্রের খবর। ৬ জনকে মেক্সিকোয় নিয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- রাক্ষুসে আগ্নেয়গিরি! গুয়েতমালায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০
রবিবার, স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ প্রবল বিস্ফোরণে জেগে ওঠে ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি। বিস্ফোরণ এতটাই প্রকট ছিল যে সে দিনই মৃত্যু হয় কমপক্ষে ২৫ জনের। প্রায় দু হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হন। ১৯৭৪ সালের পর এদিনই এমন বিকট আওয়াজে বিস্ফোরণ ঘটায় আগ্নেয়গিরিটি। উল্লেখ্য, ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি এর আগে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ২০০২ সাল থেকে নিয়মিতভাবে জেগে ওঠে এই আগ্নেয়গিরি।
আরও পড়ুন- যে হোটেলে সময় কাটাবেন কিম এবং ট্রাম্প...