প্রত্যাশিত সংঘাত শুরু মিশরে

প্রত্যাশিত সংঘাত শুরু হয়ে গেল মিশরে। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে তাঁর পদে পুনর্বহাল করতে হবে। এই দাবিতে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডদের অফিসার্স ক্লাবের সামনে আজ হাজির হয় মুসলিম ব্রাদারহুডের মিছিল। জনতা অশান্ত হয়ে উঠলে মিছিলের ওপর গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা।মৃত্যু হয় প্রেসিডেন্টের দলের তিন সমর্থকের। মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে সামরিক বাহিনীর পাহারাধীনে রাখা হয়েছে। তাঁকে রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডদের অফিসার্স ক্লাবে।

Updated By: Jul 5, 2013, 09:27 PM IST

প্রত্যাশিত সংঘাত শুরু হয়ে গেল মিশরে। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে তাঁর পদে পুনর্বহাল করতে হবে। এই দাবিতে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডদের অফিসার্স ক্লাবের সামনে আজ হাজির হয় মুসলিম ব্রাদারহুডের মিছিল। জনতা অশান্ত হয়ে উঠলে মিছিলের ওপর গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা।মৃত্যু হয় প্রেসিডেন্টের দলের তিন সমর্থকের। মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে সামরিক বাহিনীর পাহারাধীনে রাখা হয়েছে। তাঁকে রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডদের অফিসার্স ক্লাবে।
এদিন সকালেই একথা ঘোষণা করেন সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র। শুক্রবার জুম্মার নমাজে কায়রোর রাবা আল আদাওয়াইয়া মসজিদের সামনে জড়ো হন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের প্রায় দুহাজার সমর্থক। প্রার্থনা শেষে তাঁরা  রওনা হন অফিসার্স ক্লাবের  দিকে। জনতাকে রাস্তা পেরিয়ে ক্লাবের গেটের দিকে আসতে নিষেধ করে নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু ভিড় বাডার সঙ্গে সঙ্গে ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে জনতা। বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। তাতেই তিনজনের মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে তামারড বিদ্রোহীরা।  মুর্শি এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, সংখ্যাগরিষ্ঠের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্মীয় এজেন্ডাকে সামনে এনেছে মুর্শির সরকার। অর্থনৈতিক সঙ্কটের মোকাবিলাতেও তারা ব্যর্থ। সেকারণেই  ক্ষমতা থেকে সরতে হযেছে প্রেসিডেন্ট মুর্সিকে। মুর্শিকে আটক করার পাশাপাশি মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রথন সারির তিনশজন নেতার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে তাহরির স্কোয়ারে জমায়েতের বিষয়টি মাথায় রেখে কিছুটা বিক্ষোভ সম্পর্কে কিছুটা নরম মনোভাব নিয়েছে সামরিক শাসকেরা। জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী না হলে কোনও বিক্ষোভ দমন করা হবে না, এই নির্দেশ জারি করেছে সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, নতুন শাসকদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করা হবে না বলে ঘোষণা করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে মিশরে দুই যুযুধান পক্ষের তিক্ত সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠেছে। ব্যুরো

.