India-Bangladesh Border | Project Sting: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে মোতায়েন মৌমাছি, অদ্ভুত বুদ্ধি এঁটেছে BSF...
BSF: পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৬ কিলোমিটার সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ন। বিএসএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন তারা। সেখানে অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান প্রায় শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে। কী সেই পদ্ধতি?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশে (Bangladesh) রাজনৈতিক পালাবদল হতেই ভারতের প্রথম চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অনুপ্রবেশ। অস্থিরতার এই সময়ে অনেকেই পেরিয়ে আসতে চাইছেন কাঁটাতার। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের বেআইনি সেই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মৌমাছি মোতায়েন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। নদিয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছির কৃত্রিম চাক স্থাপন করেছে বিএসএফ (BSF), এমনটাই খবর।
আরও পড়ুন- Dona Ganguly: 'রেপ-টেপ সবজায়গাতেই হয় কিন্তু...' আরজি কর-কাণ্ডে সৌরভের পর এবার বেফাঁস ডোনা...
গত সপ্তাহে বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জওয়ান নদীয়া জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম কাদিপুরে জড়ো হন। সেখানে তাদের মৌমাছি চাষ শিখতে দেখা যায়। সেসময় তাদের মাথা ও মুখমণ্ডলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরা ছিল। সীমান্ত বেড়ায় বেশ কয়েকটি মৌ-বাক্স ঝুলিয়ে রাখা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৬ কিলোমিটার সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ন। তারাই এই বাক্স ঝুলিয়ে রেখেছে। এই বিষয়ে বিএসএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন তারা। সেখানে অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান প্রায় শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।
৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার বলেছেন, 'এক বছরেরও কম সময় আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে আমরা মৌমাছি পালন করা শুরু করি। এটি ছিল গ্রাম উন্নয়নে সরকারের একটি প্রকল্প। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কী করা যায় সেই চিন্তা থেকে আমার মাথায় আসে মৌমাছি চাষের বাক্সগুলো কাঁটাতারের বেড়ায় রাখা যায়। যদি কোনো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বা দুই দেশের কোনো চোরাকারবারি কাঁটাতারের কাছে আসে তাহলে মৌমাছি তাদের উপর আক্রমণ করবে।আমরা প্রায়ই দেখি কাঁটাতার কেটে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে। এছাড়া গরু চোরাচালানসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় ঘটে। আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে সীমান্তে এসব বাক্স রাখার পর সেখানে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।’
একটি ইউনিট এই উদ্যোগে সফলতা পাওয়ার পর অন্যান্য ইউনিটও একই রকম ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের এক কর্মকর্তা। আর যেসব জওয়ানকে মধুচাষ শেখানো হবে তাঁরা অবসরের পরও জীবিকার জন্য এটি করতে পারবেন। এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সীমান্তে অপরাধের ঘটনাও কমেছে। কাদিপুর গ্রামের এক বাসিন্দাবলেন, অনেক অপরাধী সীমান্ত বেড়ার আশেপাশে ছিল ও বিভিন্ন অপরাধ করে নিজেদের এলাকায় পালিয়ে যেত। এখন মৌমাছি থাকার কারণে সীমান্তে ছোটখাটো অপরাধের প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)