এক হাঁচিতে সর্বনাশ! মর্মান্তিক পরিণতি হল রেলকর্মীর
ওই ঘটনার কয়েকদিন পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন রেলকর্মী বেলি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাখা হয় ভেন্টিলশনে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
নিজস্ব প্রতিনিধি— এক হাঁচিতে সর্বনাশ। তিনি হয়তো ভাবতেও পারেনি, এভাবে বেঘোরে তাঁকে প্রাণ হারাতে হবে! লন্ডনের এক রেলকর্মীর মর্মান্তিক পরিণতি হল। তাও একজন টিকিট ক্রেতার সামান্য গাফিলতির জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার বলেছে, হাঁচি বা কাশির সময় মুখ চাপা দিতে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষই সেই কথা শুরু থেকে কানে তোলেনি। ফলে বেড়েছে সংক্রমণের ঝুঁকি। নিজেরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার অনেকেই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে অন্যের শরীরে। তেমনই ঘটনা ঘটেছি লন্ডনে। দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ভিক্টোরিয়া স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে বসেছিলেন ৪৭ বছর বয়সী বেলি মুজিঙ্গা। একজন টিকিট ক্রেতা কাউন্টারের সামনে এসে হাঁচি দেন। তাঁর থুতু এসে লাগে বেলির শরীর। ব্যস, তার পরই তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়ে যান।
ওই ঘটনার কয়েকদিন পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন রেলকর্মী বেলি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাখা হয় ভেন্টিলশনে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ড্রপলেট থেকে প্রবলভাবে ছড়ায় করোনা। আক্রান্ত রোগীর থুতু, লালা থেকে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেই জন্যই মাস্কের ব্যবহার করতে বলছে প্রশাসন। একইসঙ্গে হাঁচি বা কাশির সময় মুখ চাপা দিতে বলা হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই সেই নির্দেশিকা মানছেন না। ফলে নিজের সঙ্গে অন্যদেরও ঝুঁকিতে ফেলছেন। বেলির ঘটনা যেন সেটাই প্রমাণ করে। ব্রিটিশ রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেই টিকিট ক্রেতা করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এবং তাঁর থেকেই ওই রেলকর্মী মুহূর্তে আক্রান্ত হন।
আরও পড়ুন— করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষ মহারাষ্ট্র, দেখে নিন কোন রাজ্যে কোভিডের শিকার কতজন
বেলির মারা যাওয়ার খবর প্রকাশ হওয়ার পর সেখানকার রেলকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমনিতেই করোনাভাইরাসের জেরে ব্রিটেনের জেরবার অবস্থা। রোজ বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তার মধ্যে রেলকর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রবল ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। এক কর্তা বলেছেন, বেলির মৃত্যুতে আমরা স্তম্ভিত। আমাদের অনেক ফ্রন্টলাইন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। বেলি তাঁদের মধ্যে অন্যতম। অন্যের গাফলতির মূল্য দিতে হল ওকে।