Titanic's Wreck: মহাসমুদ্রের ১৩ হাজার ফুট নীচে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে হারিয়ে গেল সাবমেরিন...
Titanic Tourist Submersible Missing: ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার জন্য প্রথম সমুদ্রযাত্রায় রওনা দিয়েছিল টাইটানিক। যাত্রাপথে আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটলান্টিকে ডুবে গিয়েছিল জাহাজটি। ১৯৮৫ সালে কানাডা উপকূল থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে প্রথমবার আবিষ্কার করা গিয়েছিল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টাইটানিকের (Titanic)ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে গতকাল সোমবার বেশ কয়েকজন পর্যটককে নিয়ে আটলান্টিক মহাসমুদ্রে হারিয়ে গেল একটি সাবমেরিন। কানাডার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কাছের এক জায়গায় উধাও হয়ে গিয়েছে ডুবোজাহাজটি। সেটির খোঁজে ব্যাপক অভিযান চলছে। বোস্টন কোস্ট গার্ড এই অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করছে। ওশেনগেট এক্সপিডিশনস (OceanGate Expeditions) নামে এক বেসরকারি সংস্থা ডুবোজাহাজের মাধ্যমে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে নিয়ে যায় পর্যটকদের।
আরও পড়ুন: Hottest June: এত উষ্ণ জুন এর আগে কখনও আসেনি! বিস্মিত বিশ্ব জোড়া আবহাওয়াবিদেরা...
সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ১২,৫০০ ফুট নীচে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে আট দিনের এই যাত্রা। এর জন্য ২,৫০,০০০ মার্কিন ডলারের টিকিট কাটতে হয়। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে এই সাবমেরিনটির যাত্রা শুরু করে। ওশেনগেট এক্সপিডিশনস জানিয়েছে, ডুবোজাহাজটির সঙ্গে তাদের যাবতীয় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ৫ জন পর্যটক এবং কয়েকজন ক্রু সদস্য আছেন ডুবোজাহাজটিতে। ওশেনগেট এক্সপিডিশনস ডুবোজাহাজটিতে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য সমস্ত রকম উপায় অবলম্বন করেছে।
১৯১২ সালের এপ্রিলে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার জন্য প্রথম সমুদ্রযাত্রায় রওনা দিয়েছিল টাইটানিক। এই যাত্রারই মাঝপথে আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটলান্টিকে ডুবে গিয়েছিল জাহাজটি। মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১,৫০০-রও বেশি মানুষের। সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ১২,৫০০ ফুট নীচে পড়ে রয়েছে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ।
১৯৮৫ সালে কানাডা উপকূল থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে প্রথমবার আবিষ্কার হয়েছিল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। ডুবে যাওয়ার সময় মাঝখান থেকে দুভাগ হয়ে গিয়েছিল অতিকায় জাহাজটি। সমুদ্রের তলদেশে দুটি অংশই পড়ে আছে। ১৯৯৭ সালের টাইটানিকের ডুবে যাওয়া এবং তার ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কারের কাহিনি অবলম্ব করে একটি চলচ্চিত্র বানিয়েছিলেন হলিউডের চিত্রপরিচালক জেমস ক্যামেরন। এই চলচ্চিত্রই টাইটানিক-এর কাহিনিকে অমর করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে টাইটানিক নিয়ে নতুন করে কৌতূহল তৈরি করে দিয়েছিল এটি।