কাবুলে গুরুদ্বারে অতর্কিত বন্দুকবাজের হামলা, মৃত কমপক্ষে ১১
হামলা চলাকালীন এই শিখ উপাসনা গৃহে কমপক্ষে ১৫০ জন উপস্থিত ছিলেন। তখনই অতর্কিত হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের এক গুরুদ্বারে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১১ জন। এমনটাই জানিয়েছেন আফগানিস্তানের এক শিখ সাংসদ।
আফগানিস্তানে শিখরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তার জেরে কী এই হামলা? প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ নরেন্দ্র সিং খোসলা। তিনি জানিয়েছেন, যখন দুস্কৃতীরা হামলা করে পুলিস সেখানে উপস্থিত ছিল। তাও রোখা যায়নি।
হামলা চলাকালীন এই শিখ উপাসনা গৃহে কমপক্ষে ১৫০ জন উপস্থিত ছিলেন। তখনই অতর্কিত হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। শিখ সাংসদ নরেন্দ্র সিং খাসলা জানান, হামলার সময় তিনি গুরুদ্বারের কাছাকাছিই ছিলেন। খবর পেয়েই ছুটে যান তিনি।
আরও পড়ুন- করোনা নিয়ে রসিকতা করবেন না, মৃত্যুর আগে আর্জি জানিয়ে গেলেন চিকিতক
হামলার দায় এখনও কেউ নেয়নি। তালিবান নেতা জাবিহুল্লাহ মুজাহেদ টুইট করে জানায়, তালিবানরা এর সঙ্গে যুক্ত নেই। এ মাসের শুরুতেই ইসলামিক স্টেটের সহযোগী একটি সংগঠন, রাজধানী কাবুলে সংখ্যালঘু শিয়া মুসলমানদের এক সমাবেশে হামলা চালিয়ে ৩২ জনকে হত্যা করেছিল। এ হামলার নেপথ্যে কি ফের তারাই। জোরালো হচ্ছে জল্পনা।
আফগানিস্তানে বারবারই বৈষম্যের শিকার হয়েছেন শিখরা। বারবারই তাঁদের থাকতে হয়েছে বন্দুকের নলের সামনে।
১৯৯০ এর দশকের শেষদিকে তালিবানদের শাসনের অধীনে তাঁদেরকে হলুদ ব্যান্ড পরে নিজেদের পরিচয় দিতে বলা হয়েছিল, কিন্তু এই আইনটি কার্যকর করা হয়নি। আফগানিস্তানের বিপুল সংখ্যক শিখ এবং হিন্দু ভারতে আশ্রয় চেয়েছিলেন।