WB Assembly Election 2021: ভোটের আগে উত্তপ্ত জগদ্দল-টিটাগড়-কাঁচড়াপাড়া, অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে পড়ল বোমা
ঘটনার পর সাংসদের বাড়ির সামনে শুরু হয় পুলিসি তল্লাসি। ওই তল্লাসিকে ঘিরে পুলিসের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন অর্জুন সিং
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের আগে উত্তপ্ত জগদ্দল। সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে পড়ল বোমা। টিটাগড়ে বোমা ফেটে মৃত্যু হল এক গাড়ি চালকের। বোমাবাজি হল কাঁচড়াপাড়াতেও। সবেমিলিয়ে উত্তপ্ত বিশাল এলাকা।
গতকাল রাতে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি সামনে বোমাবাজি করে কিছু দুষ্কৃতী। মেঘনা মোড়ে পরপর দুটি বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর সাংসদের বাড়ির সামনে শুরু হয় পুলিসি তল্লাসি। ওই তল্লাসিকে ঘিরে পুলিসের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন অর্জুন সিং। তাঁর দাবি অকারণে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-খুনের মামলার সাক্ষীকে সরিয়ে দিতেই হামলা? গুলিবিদ্ধ TMC সমর্থক, তুলকালাম শালিমার
এনিয়ে অর্জুন সিং(Arjun Singh) বলেন, আমার বাড়ির সামনে মহিলারা পুজো করছিল। তল্লাসি করতে এসে তাদের বেধড়ক মারে পুলিস। আমি যাওয়ার পরই আমাকে গালাগালি করা হয়। সব মদ খেয়ে ছিল। তৃণমূলের নির্দেশে এসব হচ্ছে। যারা বোমা মারছে তাদের কাছে যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে মারধর করছে।
এনিয়ে তৃণণূল নেতা তাপস রায় বলেন, অর্জুন সিং তো তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেই। একে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। কিন্তু ভাটপাড়া, জগদ্দল ২০১৯ এর পরে যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে সেখানে গুলি বোমা, মানুষের মৃত্যু রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ওখানে কে কী করতে তার তদন্ত পুলিস করবে।
অন্যদিকে, নির্বচনের আগের দিন ভোররাতে বোমা ফেটে মৃত টিটাগড়(Titagarh) জে সি রোড এলাকার বাসিন্দা রাজ কুমার যাদব। পেশায় গাড়ি চালক। আর একজনকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় কলকাতায় স্থান্তরিত করা হয়েছে। বোমা বাঁধতে গিয়ে এই ঘটনা। বিস্ফোরণের দাপটে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। তবে নিহত ও আহতের রাজনৈতিক পরিচয় এখনো জানা যায় নি।
আরও পড়ুন-প্রচারে বেরিয়ে মাস্ক পরা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত তারকা প্রার্থীরা
বোমাবাজিতে উত্তপ্ত কাঁচড়াপাড়াও। গতকাল গভীর রাত কাঁচরাপাড়া ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মনসাপাড়া সংলগ্ন এলাকায় দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের। কী কারনে ভোটের আগেই বোমাবাজি ,তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বীজপুর থানার পুলিস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বীজপুর থানার পুলিস সহ কেন্দ্রীয় জওয়ান।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় নামে RAF ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।