Birbhum: তৃণমূলের একাংশের মদতে চলছিল বালি তোলার কাজ, গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে পালাল খাদ-কর্মীরা
আজ এতকিছু ঘটনার পরও ঘটনাস্থলে দেখা মেলেনি ইলামবাজার থানার পুলিসের। গোটা ঘটনায় আবারও প্রমাণ হল যে, বীরভূম যেখানে ছিল সেখানেই আছে। অবৈধ বালিঘাটের ও বালি মাফিয়া দের রমরমা এখনও অব্যাহত
প্রসেনজিত্ মালাকার: তৃণমূলের একাংশের মদতে রমরমিয়ে চলছিল অবৈধ বালির খাদ। একজোট হয়ে গ্রামবাসীরাই বন্ধ করে দিল সেই বালি খাদ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে বার বার এনেও কোনও কাজ হয়নি। বৃহস্পতিবার গ্রামবাসিরা খাদ বন্ধ করলেও দেখা মিলল না ইলামবাজার থানার পুলিসের। বীরভূমের ইলামাবাজার থানার অন্তর্গত ভরতপুর মৌজার গঙ্গাপুরে অজয় নদীর উপর দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ বালিঘাট। গ্রামবাসীদের দাবি, তৃণমূলে নেতাদের মদতে, প্রশাসনের নাকের ডগায়, নিয়মকানুনকে তোয়াক্কা না করে নৌকা লাগিয়ে, জেসিবি নামিয়ে চলছিলো অবৈধ বালিঘাটের কাজ।
আরও পড়ুন-সাদা ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! দ্বিতীয় ভুয়োর তালিকা প্রকাশ হতেই বেপাত্তা শিক্ষিকা
এতদিন ধরে কোনওভাবেই ওই বালিখাদে নজর পড়েনি প্রশাসনের। পুলিসের তরফে আগেও বীরভূম জেলায় ড্রোন নিয়ে তল্লাশি করতে দেখা গিয়েছে।। তাহলে এতোদিন ধরে অজয় নদীর উপর অবৈধ বালিঘাট চলছে, কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিল না কেন, এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। সত্যিই কি ইলামবাজার থানার পুলিস জানে না? নাকি জেনেও কোনও গুরুত্ব দেইনি? সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
ভরতপুর মৌজার গঙ্গাপুরের অজয় নদীর আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ঘাট চলছে। আর ঘাট চালাচ্ছে স্থানীয় কিছু তৃণমূলের নেতা। বার বার বলা হলেও তারা কথা শোনেনি। এমনকি, নদীর পাশে চাষের জমির পাড় কেটে নেওয়া হচ্ছে। কোনও কিছু বললে শুনছে না। আর সেই কারনেই আজ গ্রামবাসীরা গিয়ে বন্ধ করে দেই অবৈধ বালিঘাট গুলি। গ্রামবাসীদের দাবি, যারা ঘাট চালাচ্ছিল তারা পালিয়ে যায়। বালিভর্তি গাড়ি, মেশিন সমস্ত জিনিস রেখে তারা এখন উধাও।
অন্যদিকে, আজ এতকিছু ঘটনার পরও ঘটনাস্থলে দেখা মেলেনি ইলামবাজার থানার পুলিসের। গোটা ঘটনায় আবারও প্রমাণ হল যে, বীরভূম যেখানে ছিল সেখানেই আছে। অবৈধ বালিঘাটের ও বালি মাফিয়া দের রমরমা এখনও অব্যাহত। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বীরভূমের সিউড়িতে এমন এক বালিঘাটের দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে একজনের মৃত্যু হয়েছিল।
ইলামবাজার এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ফজরুল রহমান এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অবৈধ বালিঘাট চলছে বলে আমার জানা নেই। তবে চললে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। বীরভূমে জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি বলেন, অবৈধ বালিঘাট দেখার কাজ BLRO দফতরের। আমাদের এখানে কিছু করার নেই।। আর আমার কাছে এমন কোনও ঘটনার কথা জানা নেই। তবে, এমন ঘটে থাকলে আমরা নিশ্চই ব্যবস্থা নেব।