'ভোট হয়নি, লুঠ হয়েছে', বিরোধী আসন হারিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ সিপিএম-কংগ্রেসের
অবাধ ভোট হলে বামেরা ছেড়ে কথা বলত না, এমনই ইঙ্গিত তাঁর। ভোটের ফল প্রকাশের পর সুজন চক্রবর্তী বলেন, " আমরা আগেই বলেছি, ভোট হয়নি, লুঠ হয়েছে। আমরা সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। একটা জায়গায় অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক, আমরা বুঝে নেব।"
উজ্জ্বল মুখার্জি
দুই উপনির্বাচনেই থার্ড হল সিপিএম। উলুবেড়িরায় ১৫ হাজার ভোট, আর নোয়াপাড়ার জেতা আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হল কংগ্রেসের। উত্তর ২৪ পরগণার নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র এবং হাওড়ার উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের আগের এই অ্যাসিড টেস্টে কার্যত মুখ পুড়েছে খাতায় কলমে রাজ্যের প্রধান দুই বিরোধী দলের। দুই আসনেই তৃতীয় স্থানে সিপিএম, আর চতুর্থ কংগ্রেস। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে গেরুয়া শিবির। তবে, এমন হারের পরও পাল্টা শাসকদলের বিরুদ্ধেই পাল্টা তোপ দেগেছেন রাজ্যের দুই বিরোধী নেতা।
আরও পড়ুন- ব্যবধান বাড়িয়ে উলুবেড়িয়া ধরে রাখল তৃণমূল, তিনে নামল সিপিএম
বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, "ভোট লুঠ হয়েছে"। অবাধ ভোট হলে বামেরা ছেড়ে কথা বলত না, এমনই ইঙ্গিত তাঁর। ভোটের ফল প্রকাশের পর সুজন চক্রবর্তী বলেন, " আমরা আগেই বলেছি, ভোট হয়নি, লুঠ হয়েছে। আমরা সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। একটা জায়গায় অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক, আমরা বুঝে নেব।"
আরও পড়ুন- নোয়াপাড়ায় 'অর্জুনের লক্ষ্যভেদ', তৃণমূলের জয়ের ৫টি কারণ
সুজনের সুরে সুর মিলিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও। দলের খারাপ পারফর্ম্যান্সের কথা মেনে নিয়েই মান্নান জানান,"নির্বাচনের ফলাফল খুবই খারাপ। তবে রাজ্যে ভোটের পরিবেশ নেই।"
নোয়াপাড়া বিধানসভা: ৬৩ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুনীল সিং।
উলুবেড়িয়া লোকসভা: ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৫৮২ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ।