Bhangor: জমায়েতে গররাজি প্রশাসন, অনুমতি না মেলায় বাতিল আরাবুলের শান্তি মিছিল
বুধবার হাতিশালায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে শান্তি মিছিল হওয়ার কথা ছিল। সেই নিয়ে আরাবুল ইসলাম জানান আজ তারা কোন শান্তি মিছিল বা প্রতিবাদ সভা করবেন না হাতিশালয়। প্রশাসনের অনুমতি রাত পর্যন্ত তারা পায়নি। তাছাড়া দলেরও নির্দেশ নেই। তাই আজ হাতিশালা তৃণমূলের তরফ থেকে কোন মিছিল ও জনসভা হবে না।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভাঙড়ের হাতিশালাতে বুধবার মিছিল করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে অনুমতি না মেলায় মিছিল না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার হাতিশালায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে শান্তি মিছিল হওয়ার কথা ছিল। সেই নিয়ে আরাবুল ইসলাম জানান আজ তারা কোন শান্তি মিছিল বা প্রতিবাদ সভা করবেন না হাতিশালয়। প্রশাসনের অনুমতি রাত পর্যন্ত তারা পায়নি। তাছাড়া দলেরও নির্দেশ নেই। তাই আজ হাতিশালা তৃণমূলের তরফ থেকে কোন মিছিল ও জনসভা হবে না।
আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আপাতত সভা করছিনা। প্রশাসনের বাধা রয়েছে। যেহেতু কালকে প্রজাতন্ত্র দিবস। আমরা সেই কারণে সমস্ত দিক ভেবে চিন্তে। মিটিংটা আপাতত বাতিল করলাম। প্রশাসনের পারমিশন দেয়নি সেই কারণে। রাত ১১টায় সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই মিছিল বাতিল করা হয়েছে’।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: পশ্চিমী ঝঞ্ঝায় থমকে গেল উত্তুরে হাওয়া, রাজ্যে উধাও শীত
তিনি আরও বলেন,’ আমরা জানাব। ভাঙড়ে আমাদের সবসময় কর্মসূচী থাকে’।
শনিবার আইএসএফ ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়ের হাতিশালা। অভিযোগ ওঠে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর ও জ্বালিয়ে দিয়েছে। ওই দিনই ধর্মতলায় আইএসএফ কর্মীদের উপরে লাঠি চালায় পুলিস। গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ নেতা ও ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। ওই গ্রেফতারের পর থেকে হাতিশালায় উত্তেজনার পারদ আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: Bhangor: ভাঙড়ে তৃণমূলের প্রতিবাদ সভার অনুমতি দিল না পুলিস, অনড় আরাবুল
ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূলের একটি প্রতিবাদ সভা ও শান্তি মিছিল করার কথা ছিল বুধবার। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে ওই মিছিল ও সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সভা বা কোনওরকম জমায়েতের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিস। পুলিসের তরফে বলা হয় ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত হাতিশালা এলাকায় কোনও জমায়েত করতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দল। বুধবার পাকাপোল থেকে হাতিশালা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করার কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব।