Magrahat School: স্কুলে পড়ুয়া আসে মাত্র ১ জন, তারই পথে চেয়ে বসে থাকেন ২ শিক্ষক
স্কুলের পড়ুয়া কমতে কমতে এসে ঠেকেছে মাত্র একজনে। শিক্ষক ২ জন। তারা সারাদিন হাপিত্যেস করে বসে থাকেন, কখন আসবে ওই পড়ুয়া। এমনই করুণ দশা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার দক্ষিণ সেওরদায়।

নকিবউদ্দিন গাজি: স্কুলের পড়ুয়া কমতে কমতে এসে ঠেকেছে মাত্র একজনে। শিক্ষক ২ জন। তারা সারাদিন হাপিত্যেস করে বসে থাকেন, কখন আসবে ওই পড়ুয়া। এমনই করুণ দশা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার দক্ষিণ সেওরদায়।
আরও পড়ুন- হোলি খেলার নামে এলাকায় গালাগালি, প্রতিবাদ করায় কারগিল জয়ী সেনাকে ঘরে ঢুকে পেটাল দুষ্কৃতীরা
২০১১ সালে সেওরদা প্রাইমারি স্কুলের পাশেই তৈরি হয়েছিল জুনিয়র হাইস্কুল। প্রায় ৫০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে ক্লাস ফাইভ থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত ক্লাস শুরু হয়েছিল। প্রথমদিকে এলাকার অভিভাবকরা উত্সাহ দেখালেও ধীরে ধীরে সেই উত্সাহ কমতে থাকে। ফাঁকা হতে থাকে স্কুলের ক্লাস। এখন খাতায় কলমে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৫ জন। কিন্তু বাস্তবে স্কুলে আসে মাত্র এক ছাত্রী। তার পথ চেয়ে বসে থাকেন স্কুলের ২ শিক্ষক।
কোভিড পরিস্থিতিতে স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ থাকায় তা পুরোপুরি ফল ভোগ করতে হচ্ছে এই স্কুলকে। এর ফলে ছাত্রছাত্রী না থাকলেও দুই শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসেন। এই গ্রামের শিক্ষার মান উন্নতি করতে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ও রাজ্য সরকারের শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য প্রাইমারি থেকে জুনিয়র হাই স্কুল তৈরি করা হয়। এখন গ্রামের অধিকাংশ ছেলে মেয়েরা প্রাইমারি পাস করার পর অন্যান্য ইস্কুলে ভর্তি করলেও এই জুনিয়র হাইস্কুলে ভর্তি হয় না। মূলত শিক্ষকের অভাবে তাই। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।। পাকা বাড়ি, ইলেকট্রিক, শৌচালয়-সহ স্কুলের পরিকাঠামোর দিক থেকে কোন খামতি না থাকলেও ছাত্র ছাত্রীর অভাবে স্কুল যে বন্ধ হতে বসেছে।
বর্তমানে এক ছাত্রীকে নিয়েই ২ শিক্ষক ক্লাস চালিয়ে যান নিয়মিত। এদের একজন অংকের শিক্ষক এবং অন্যজন ইংরেজির। গ্রামবাসীদের ও শিক্ষকদের আশা এই স্কুলটি আগের মতন ফিরবে। কিন্তু কীভাবে? সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২০ জনের নিচে ছাত্রছাত্রী থাকলে সেই সব স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আশঙ্কিত গ্রামবাসীরা।