Post Poll Violence Arrest: ভোট পরবর্তী অশান্তিতে বিজেপি কর্মী খুন, ৩ জনকে গ্রেফতার CBI-এর
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দু'দিন পর দাদার হাতে খুন হয় ভাইকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোট পরবর্তী অশান্তিতে (Post Poll Violence) বিজেপি (BJP) কর্মীকে খুনের (Murder) ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং (Sabang) থানার বিষ্ণুপুর অঞ্চলের মারকুন্ডা গ্রাম থেকে ওই তিনজনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। ধৃতদের নাম শিবানী মহেশ, অলকা মহেশ ও শুভজিৎ মহেশ। এরা বিশ্বজিৎ মহেশের দুই বৌদি ও ভাইপো।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালের মে মাসের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দু'দিন পর ৪ মে রাতে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে দাদার হাতে খুন (Murder) হতে হয়েছিল ভাইকে। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ মহেশ (৪৫)। তিনি এলাকায় বিজেপি (BJP) কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা যায়, সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল দুই ভাইয়ের মধ্যে। পাশাপাশি বাড়ি দুজনের। ৪ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জমি নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে। শেষ পর্যন্ত তা খুনে গড়ায়।
সন্ধেবেলায় জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বড় দাদা বিদ্যুৎ মহেশ ও ছোট ভাই বিশ্বজিৎ মহেশের মধ্যে বচসা বাধে। তখনই বড় দাদা বিদ্যুৎ উঠোনে টেনে নিয়ে গিয়ে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে বিশ্বজিৎ মহেশকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। তারপর মৃতদেহটি পুকুরে ফেলে চলে যায় দাদা বিদ্যুৎ মহেশ। ঘটনার খবর পেয়ে রাতে সবং থানার পুলিস আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থল থেকে খুনে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও লাঠি উদ্ধার করে। উদ্ধার করে মৃতদেহটিও।
পরবর্তীতে এই ঘটনার জল গড়ায় রাজনীতিতে। যেহেতু বিশ্বজিৎ মহেশ বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন, সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে তৃণমূল কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে ভাইদের দিয়ে খুন করেছে বিশ্বজিৎকে। বিজেপির পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়। বিজেপি নেতা অজিত মন্ডল বলেন, "এটি পারিবারিক বিবাদ নয়। তৃণমূল কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের বিজেপি কর্মীকে খুন করেছে।"
অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। এ ব্যাপারে বিষ্ণুপুর অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি গৌর বেরা বলেন, "এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা কোনওভাবে জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণ জায়গা জমি সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা। আর সেই কারণেই খুন হতে হয়েছে বিশ্বজিৎ মহেশকে। বিজেপি কর্মীরা চক্রান্ত করে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।"
আরও পড়ুন, JMB Terrorist Arrest: 'একবারের জন্যও ভাবিনি লোকটা জঙ্গি হতে পারে!' ডানলপে ধৃত সন্দেহভাজন JMB জঙ্গি
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার মাঝে চলল 'গুলি', প্রাণ গেল এক কলেজ ছাত্রীর