ফিরহাদ, মলয়ের উপস্থিতিতেই নেতাজি ইন্ডোর ভাঙচুর, বিক্ষোভ ঠিকাশ্রমিকদের
সোমবার এই সংগঠনের বেতন ঘোষণার দিন ছিল। কিন্তু বেতন ঘোষণা হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে নেতাজি ইন্ডোরে ধুন্ধুমার। Self-employed লেবার অর্গানাইজার সংগঠনের সম্মেলনে উত্তেজনা। সারা বাংলা ঠিকা শ্রমিক সংগঠন এসএলও-র অনুষ্ঠানে সোমবার তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। সোমবার এই সংগঠনের বেতন ঘোষণার দিন ছিল। কিন্তু বেতন ঘোষণা হয়নি। ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক-সহ মন্ত্রীরা ছিলেন অনুষ্ঠানে। বকেয়া বেতনের দাবিতে তাঁদের সামনেই শুরু হয় গণ্ডগোল। চলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি।
আরও পড়ুন: 'বিশ্বাসঘাতক' মন্তব্যে আহত! দল ছাড়লেন পূর্ব মেদিনীপুর TMCP সভানেত্রী
জানা গিয়েছে, এদিন মলয় ঘটক বক্তব্য শুরু করা মাত্রই উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভকারীরা বুঝতে পারেন আজও বেতন কাঠামো ঘোষণা হবে না। এরপরই উত্তেজনা ছড়ায়। মন্ত্রীদের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ঠিকা শ্রমিকরা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতেই মন্ত্রীরা বেরিয়ে যায় নেতাজি ইন্ডোর ছেড়ে। বিক্ষোভকারীরা বাইরে এসে পথ অবরোধ করেন। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এক ঘন্টার উপর চলে রাস্তা অবরোধ। তৈরি হয় যানজট।
এরপই পুলিসি তৎপরতায় বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করা হয়। জানা গিয়েছে, পুলিসের তরফে তাঁর ৪ জনের একটি প্রতিনিধি দলকে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিনিধি দল শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তাঁরা ফিরেই বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও পড়ুন: বোনকে নিয়ে স্কুলে ভর্তি হতে যাচ্ছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী, লরির ধাক্কায় পথেই মৃত্যু
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাস্তা ফাঁকা করে দিয়েছে পুলিস। স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচলও। দু-দিকের লেনও খুলে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, শ্রমিকদের সুরক্ষার খাতে সরকারি প্রকল্পের ২৫টাকা তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আদায় করেন। সংগ্রহের জন্য বই পিছু দুই টাকা করে কমিশন পান। গত এপ্রিল মাস থেকে সেই কমিশন পাওয়ার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ দিন তাদেরকে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল যে তাদের বেতন ঘোষণা করা হবে এমনটাই দাবি বিক্ষোভকারীদের।
সংগঠনের কর্মীদের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল এদিন ইন্ডোর স্টেডিয়াম এর মঞ্চ থেকে তাদের বেতন ঘোষণা করা হবে। সেই আশা ভঙ্গের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সংগঠনের সদস্যরা। ভেতরে চেয়ার ছোড়া ছুরি করার পর তারা রাস্তায় এসে বিক্ষোভ দেখান। মন্ত্রীদের ছবি দেওয়া সম্মেলনের প্ল্যাকার্ড ভেঙে ফেলা হয়। অবশেষে পুলিসের তরফ থেকে বোঝানো হয়। তারপরেই সংগঠনের পাঁচজন সদস্য শ্রমদপ্তর এর কাছে যান।