মাত্র ৫২৮ টাকায় গঙ্গাসাগরে দিনমজুরি করছেন কবাডি বিশ্বকাপার
দৈনিক আয় ৫২৮ টাকা। রাত পোহালেই পুণ্যস্নান। প্রস্তুত সাগরসঙ্গম। সাধু,সন্তরা প্রহর গুনছেন পুণ্যডুবের। লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে জমে উঠেছে সাগরমেলা। তার মাঝেই ধরা পড়ল তাঁদের গল্প। সঙ্গীতা মন্ডল (২৮) এবং বিথী করণ (১৯)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কবাডিতে সারা দেশে পশ্চিমবঙ্গের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁরা। জয়ী হয়েছেন বিশ্বকাপেও। তবে পেটের দায় বাঁধ সেধেছে। রোজগারের তাড়নায় এখন দিনমজুরের কাজ করেন জাতীয়স্তরের এই কবাডি খেলোয়াররা। দৈনিক আয় স্রেফ ৫২৮ টাকা। এদিকে রাত পোহালেই পুণ্যস্নান। প্রস্তুত সাগরসঙ্গম। সাধু,সন্তরা প্রহর গুনছেন পুণ্যডুবের। লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে জমে উঠেছে সাগরমেলা। তার মাঝেই ধরা পড়ল তাঁদের গল্প। তাঁরা সঙ্গীতা মন্ডল (২৮) এবং বিথী করণ (১৯)।
তামাম বিশ্বের দরবারে পশ্চিমবঙ্গের নাম উজ্জ্বল করছেন বহুবার, তথচ কোনও সম্মানই জোটেনি আজ পর্যন্ত। জমেছে অভিমানের পাহাড়। স্রেফ রুজি-রুটির জন্য সিভিল ডিফেন্সের কাজ করতে এসেছে গঙ্গাসাগরের মেলায়। সঙ্গীতা আর বিথীর আক্ষেপ এত কিছুর পরও রাজ্য সরকারের তরফে মেলেনি কোনও সাড়া মেলেনি। মেলেনি কোনও আর্থিক সহায়তাও। তাই প্রতিভাকে আপাতত আড়ালে রেখেই দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন তাঁরা।
নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে সাগর চত্বর পুণ্যস্নানের প্রতীক্ষায় সাগরসঙ্গম। বুধবারই মকরসংক্রান্তি। সাগরে পুণ্যস্নানের জন্যে মানুষের ঢেউ।সাগরের মেলা মানেই সাধু বাবাদের রকমারি কাণ্ড। পুণ্যার্থীদের ভিড়ে জনসমুদ্র সাগরমেলা। এত মানুষ, এত আবেগের মধ্যেও লুকিয়ে অভিমানের পাহাড়। প্রাপ্য না রয়েছে সাগরমেলার পুণ্যভূমে।