Krishnanagar Minor Girl 'Rape': 'মদ খেয়ে আমার সঙ্গে উল্টোপাল্টা কাজ করে বাবা', প্রতিবেশীদের কাছে কান্নাকাটি নাবালিকার; এরপর...
সপ্তাহে দু'দিন বাড়িতে এলে মদ খেয়ে বাবা অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। এতদিন সহ্য করে রবিবার নাবালিকার ( Minor Girl) ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে।

নিজস্ব প্রতিবেদন: তার মায়ের মৃত্যু হয়। এরপর বাবা আরও একটা বিয়েও করে। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে 'উল্টোপাল্টা' কাজ করতে শুরু করে বাবা। কাউকে বললে 'মারধর'-এর ভয় দেখায়। রবিবার সহ্যের সীমা ভেঙে যাওয়ায় প্রতিবাদ করল নাবালিকা (Krishnanagar Minor Girl)। কাঁদতে কাঁদতে প্রতিবেশীদের কাছে গিয়ে বাবার সমস্ত 'কুকীর্তি'র কথা জানায় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী। প্রতিবেশীদের সাহায্যেই থানায় গিয়ে বাবার নামে অভিযোগ দায়ের করল সে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতয়ালী থানা (Krishnanagar Kotwali Police Station) এলাকায়া তীব্র উত্তেজনা।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কলকাতার কোনও একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করে। সপ্তাহে দু'দিন বাড়িতে যায়। নাবালিকার (Krishnanagar Minor Girl) অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে পুলিস। সূত্রের খবর, কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর কোতয়ালী থানার পুলিস (Krishnanagar Kotwali Police Station)। আটক করা হয়েছে অভিযুক্তের মা এবং দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে। নাবালিকার (Krishnanagar Minor Girl) অভিযোগ, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম তাঁর উপর নির্যাতন করে বাবা। ভয়ে বাবার এই কুকাজের কথা সে কাউকে বলতে পারেনি। তবুও স্কুলের বান্ধবী এবং প্রধান শিক্ষিকাকে জানিয়েছিল। কিন্তু বাবার সন্মানহানির ভয়ে এবং বাবাকে বাঁচাতে কাউকে সে কথা প্রকাশ্য়ে আনতে দেয়নি। এরপরও অত্য়াচারের পরিমাণ কমেনি। সপ্তাহে দু'দিন বাড়িতে এলে মদ খেয়ে বাবা অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। এতদিন সহ্য করে রবিবার নাবালিকার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে।
প্রতিবেশীদের সমস্ত কথা জানায় নাবালিকা। তাঁদের সাহায্যেই থানায় যায় এবং অভিযুক্ত বাবার নামে অভিযোগ দায়ের করে। নির্যাতিত ছাত্রী জানিয়েছে, বাবার কাছে থাকবে না। সে দাদুর কাছে থাকতে চায়। ছেলের 'কুকীর্তি'র বিষয় নিয়ে কথা বলতে এড়িয়ে গিয়েছেন অভিযুক্তের মা। স্বামী যে এমন কাজ করতে পারে, তা মানতে চাননি বর্তমান স্ত্রীও। যদিও অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন: Panihati TMC Councilor Kill: পাটিহাটিতে শুটআউট, গুলিতে নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর; এলাকায় তীব্র উত্তেজনা