সাধারণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন, পুলিসের জালে ৩
দরিদ্র পরিবারের কাছে থেকে মাসিক ৬-৮ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া করা হচ্ছে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ডেবিট কার্ড।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে চলছে। জামতারা, নয়ডার মডেলে চন্দননগর অঞ্চলে চলছে এমনই অনলাইন জালিয়াতির চক্র। দরিদ্র পরিবারের কাছে থেকে মাসিক ৬-৮ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া করা হচ্ছে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ডেবিট কার্ড। সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে প্রতারণার টাকা লেনদেনের মাধ্যম হিসাবে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের কাছে।
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চন্দননগর ব্রাঞ্চের এমন বেশকিছু অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলিছে। বিগত কদিন যাবৎ বেশ কয়েক লক্ষ টাকার লেনদেন চোখে পড়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। ব্য়াঙ্ককর্মীরা জানাচ্ছেন, এই টাকা অ্যাকাউন্টে পড়া মাত্রই ট্রান্সফার হচ্ছিল অন্য অ্যাকাউন্টে। বিষয়টি পুলিসের নজরে আসার পরই, এইসব অ্যাকাউন্টের গ্রাহকদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস।
জানা যায়, ভাড় নিয়ে অভিনব কায়দায় চলছে জালিয়াতির চক্র। অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়ার পাশাপাশি বদলে ফেলা হচ্ছে অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নাম্বারটিও। এই বিষয়ে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে চন্দননগর থানার পুলিস। তাঁদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড ও ব্যাঙ্কের পাসবুক উদ্ধার হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এসিপি পলাশ ঢালি জানিয়েছেন, "ঘটনায় ৩ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার হয়েছে, এদের কাছ থেকে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসও উদ্ধার হয়েছে, বিষয়টির তদন্ত চলছে।" পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের দ্রুত সন্ধান করা সম্ভব হবে বলেই জানিয়েছে তিনি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, বিগত ৬ মাস ধরে ধীরে ধীরে হুগলীর ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর, চাঁপদানি এই সকল এলাকায় জাল বিস্তার করেছে এই চক্র। বর্তমানে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট সামনে উঠে এলেও, এই ঘটনার সঙ্গে আরও শতাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যুক্ত রয়েছে বলেই অনুমান পুলিসের। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের আজ চন্দননগর আদালতে পেশ করা হয়।