Naushad Siddiqui: 'কলকাতাকে অচল করে দেব', নওশাদের গ্রেফতারিতে হুঁশিয়ারি ফুরফুরা শরীফের পীরজাদার
ISF-র কর্মসূচিতে রণক্ষেত্র ধর্মতলা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে লাঠি চালাতে হল পুলিসকে। সঙ্গে কাঁদানে গ্যাসও। গ্রেফতার নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৯ জন।
বিধান সরকার: পুলিসি হেফাজতে নওশাদ সিদ্দিকি। স্রেফ নিঃশর্ত মুক্তির দাবি নয়, 'প্রয়োজনে কলকাতাকে অচল করে দেওয়া'র হুঁশিয়ারি দিলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি। বললেন, 'ধর্মতলায় গিয়ে বসে পড়ব। এর শেষ দেখে ছাড়ব'।
ISF-র কর্মসূচিতে রণক্ষেত্র ধর্মতলা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে দফায় দফায় সংঘর্ষ! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে লাঠি চালাতে হল পুলিসকে। সঙ্গে কাঁদানে গ্যাসও। কেন? দলের প্রতিষ্ঠাদিবসে দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন ISF-কর্মী-সমর্থকরা। যখন পুলিস তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিতে বলে, তখনই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৯ জন গ্রেফতার করেছে পুলিস। একজন নাবালক বাদে বাকিদের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: Malda: 'নেতামন্ত্রীদের প্রবেশ নিষেধ'! পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফতোয়া জারি গ্রামবাসীদের...
স্রেফ বিধায়ক নন, নওশাদ সিদ্দিকি ফুরফুরা শরীফের এক পীরজাদাও। তাঁর গ্রেফতারির পর, এদিন ফুরাফুর শরীফে বৈঠকে বসেন বেশ কয়েকজন পীরজাদা। সেই বৈঠকের পর পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি বলেন, 'আমাদের যত ভক্ত আছে, হিন্দু-মুসলমান-জৈন-আদিবাসী, আপনারা তৈরি হন, আগামীদিন কলকাতা আসার জন্য। আমরা কলকাতার রাজপথ অচল করে দেব'।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ধর্মস্থানকে আমরা শ্রদ্ধা করি। ধর্মস্থান ও রাজনীতির ময়দান তৈরি রাখা ভালো। ধর্মগুরু যদি রাজনীতিতে যুক্ত, তাহলে বোধহয় সেটা বাঞ্চনীয় নয়'। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের মতে, 'দলের সর্বোচ্চ নেতা যখন গ্রেফতার হয়, তখন সেই দল আন্দোলন করে, অবস্থান করে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে ধর্ম আর রাজনীতি যেন মিশে না যায়'।
এদিকে নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারেj প্রতিবাদে পথে নামছে ISF। আগামীকাল, মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল করবেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত নাগরিক মিছিলেরও পরিকল্পনা করেছে তারা।