করোনা সংক্রমণে একদিনেই মৃত্যু স্বামী ও শাশুড়ির, ২ সন্তান নিয়ে সরকারি সাহায্যের আর্তি অসহায় প্রতিমার

দু-দিন আগেও ভরা ছিল সংসার। আজ আর নেই। করোনা করাল গ্রাস গিলেছে সব। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বামী শাশুড়িকে হারিয়ে অথৈ জলে প্রতিমা।

Updated By: Jul 6, 2020, 04:58 PM IST
করোনা সংক্রমণে একদিনেই মৃত্যু স্বামী ও শাশুড়ির, ২ সন্তান নিয়ে সরকারি সাহায্যের আর্তি অসহায় প্রতিমার

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা করালগ্রাসে স্বামী -শাশুড়ি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দু-জনকে হারিয়ে অথৈ জলে বামনঘাটায় প্রতিমা মণ্ডল। দুই সন্তানের হাত ধরে এখন তাকিয়ে সরকারি সাহায্যের দিকে। না হলে অনাহারে মৃত্যু নিশ্চিত বলেই জানালেন প্রতিমা দেবী।

আরও পড়ুন:  বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হালিসহর, আতঙ্কে দিন গুনছেন স্থানীয় বাসিন্দারা

দু-দিন আগেও ভরা ছিল সংসার। আজ আর নেই। করোনা করাল গ্রাস গিলেছে সব। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বামী শাশুড়িকে হারিয়ে অথৈ জলে প্রতিমা।

বামনঘাটা বাজার থেকে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে খানিক এগোলেই চচ্চড়িয়া পাড়া। এখানেই থাকতেন শঙ্কর মণ্ডল। বৃদ্ধা মা ,স্ত্রী আর দুই সন্তানের সংসারে একমাত্র রোজগেরে বলতে তিনিই। রাজারহাটের শপিং মলে সুইপারের কাজ করে রোজগার যা হত তাতে পেট চলে যেত। টানাটানির সংসারে যমদূত হয়ে দেখা দিল মারণ রোগ।

আরও পড়ুন:  লাবপুরে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য খুনে ধৃত ৫ বিজেপি সমর্থক

স্বামীর মৃত্যুর দিনই জ্বরে পড়েন শাশুড়িও। আরজি করে ভর্তি করালে রাতেই মারা যান বৃদ্ধা। আকাশ ভেঙে পড়ে বছর ৩০-এর প্রতিমার মাথায়। ১৩ বছরের ছেলে আর ২ বছরের মেয়েকে নিয়ে এখন কার্যত দিশাহীন। পাড়া প্রতিবেশীরা দয়া করে যেটুকু দিচ্ছেন তাতেই পেট চলছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন?

বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে পঞ্চায়েত। বামনঘাটার পঞ্চায়েত প্রধান ও লেদার কমপ্লেক্স থানার বড়বাবুর উদ্যোগে প্রতিমা ও তাঁর সন্তানদের হাতে কিছু সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। তবে, তা যে যথেষ্ট নয়। বিডিওর আশ্বাস, সরকারি প্রকল্পের আওতায় আনা হবে প্রতিমাকে। সরকারি সাহায্য পেলে হয়তো না খেতে মরতে হবে না। দুই সন্তানকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন বছর ৩০-এর সদ্যবিধবা।

.