Sexual Assault: বাড়িতে বাবা-কাকার যৌন নির্যাতন, বাঁচতে পালিয়ে মুম্বই পাড়ি নাবালিকার
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে যে অভিযুক্ত যুবক বাড়িতেই আছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে যে ওই নাবালিকা মুম্বইতে মাসির বাড়িতে আছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজের কুকীর্তি ঢাকতে নিজেই থানায় অভিযোগ করেছিল। মেয়ে পালিয়ে গিয়েছে। মেয়েকে খুঁজে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল পুলিসের কাছে। তদন্তে নেমে মুম্বই থেকে পুলিস সেই মেয়েকে খুঁজে বের করতেই পর্দাফাঁস হল বাবার কুকীর্তির। বাবা অবশ্য একা নয়, সঙ্গ দোসর কাকাও। বাবা-কাকা, দুজনে মিলেই যৌন হেনস্থা করত ওই নাবালিকার। বেশ কয়েকবার বাবা ও কাকার যৌন লালসার শিকার হয় সে। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে বাবা ও কাকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পুরাতন হেলেঞ্চার।
জানা গিয়েছে, পুরাতন হেলেঞ্চার বাসিন্দা কাশেম মন্ডল ২০২১-এর ২২ অগাস্ট বাগদা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। সে অভিযোগ করে যে তার ১৭ বছরের নাবালিকা মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছে। এক যুবকের সঙ্গে তার মেয়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল কাশেম মন্ডল। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে যে অভিযুক্ত যুবক বাড়িতেই আছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে যে ওই নাবালিকা মুম্বইতে মাসির বাড়িতে আছে। মুম্বই যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র সহযোগিতা করেছিলেন। এরপরই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিস। তাতেই সামনে আসে আসল ঘটনা।
আরও পড়ুন, Shocking Visual: খেলার সময় ১১ মাসের শিশুর মাথায় আটকাল হাঁড়ি!
ওই নাবালিকা পুলিসকে জানায় যে, বাড়িতে বাবা-কাকা তার উপর যৌন নির্যাতন চালাত। বেশ কয়েকবার যৌন লালসার শিকার হয়েছে সে। বাবা-কাকার যৌন হেনস্থার হাত থেকে বাঁচতেই পালিয়ে মুম্বইতে মাসির বাড়ি আশ্রয় নিয়েছে সে। এরপরই নাবালিকাকে মুম্বই থেকে বাগদায় নিয়ে আসে পুলিস। মেয়ের লিখিত বয়ানের ভিত্তিতে বাবা কাশেম মন্ডল ও কাকা কবীর মন্ডলকে গ্রেফতার করে বাগদা থানার পুলিস। বাবা ও কাকার বিরুদ্ধে পক্সো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিস। ধৃতদের আজ বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
আরও পড়ুন, Suri: বিনা মেঘে বজ্রপাত! বিয়েবাড়িতে কফি মেশিন ফেটে মৃত্যু প্রৌঢ়ের